শক্তি সঞ্চয় করে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও শক্তি অর্জন করে বুধবার (১০ মে) ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়াবিদদের আলোচনার বিষয় নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ । বলা হচ্ছে এটি যে কোনো সময় বাংলাদেশের ভোলা ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এই আশঙ্কার কারণে ইতোমধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে ক্রমেই এটি আরও শক্তিশালী হয়ে কাল বুধবার (১০ মে) ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে এক সতর্ক বার্তায় আবহাওয়া অফিস জানায়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে ৮ মে মধ্যরাতে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবারের (৯ মে) মধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আগামীকাল বুধবারের মধ্যে এটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে পারে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে বাঁক নিতে পারে। এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস উঠেছে জনজীবনে। সোমবার (৮ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। তার মতে, ঘূর্ণিঝড় মোখা আগামী রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টার পর থেকে ১৫ মে সকাল ৬টার মধ্যে অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে।