চুয়াডাঙ্গা শহরের ফেরিঘাট রোডে জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটি ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের নকল ভেজাল শিশুখাদ্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মুল্যবিহীন পণ্য উদ্ধার করেছে।
বুধবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বড়বাজার ফেরিঘাট রোডের জনি স্টোরের মালিক হামিদুর রহমান জনির ৬টি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এসব নিম্নমানের নকল শিশুখাদ্য ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মুল্যবিহীন পণ্য উদ্ধার করা। এ সময় ৬টি গোডাউন সিলগালা ও গোডাউন মালিককে ৪ লাখ জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, বুধবার শহরের বড়বাজার ফেরিঘাট রোডে জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটি ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালায় মেসার্স জনি স্টোরে। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের ৬টি গোডাউনে অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের নকল ভেজাল শিশুখাদ্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মুল্যবিহীন পণ্য উদ্ধার করা হয়। এ সময় গোডাউন মালিক হামিদুর রহমান জনিকে ৪ লাখ জরিমানা ও ৬টি গোডাউন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মেসার্স জনি স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানের মালিককে এর আগেও অভিযানকালে সতর্ক করা সত্ত্বেও তিনি অননুমোদিত ও নিম্নমানের নকল ভেজাল শিশুখাদ্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ মুল্যবিহীন পণ্য বিক্রি করে আসছিলেন। পরবর্তীতে শিশুখাদ্যগুলো দোকান মালিক সমিতি, চেম্বার অফ কমার্স, সাংবাদিকবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি ও সচেতন ভোক্তাদের উপস্থিতিতে টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে ধ্বংস করা হবে।
তিনি আরও জানান, এই প্রতিষ্ঠানের মালিক হামিদুর রহমান জনিকে কয়েক বছর আগে একই অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি এরপরেও সংশোধন না হয়ে তার নকল ভেজাল শিশুখাদ্যের ব্যবসা আরও অধিকতরভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পার্শ্ববর্তী জেলা মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ও সকল উপজেলায় তিনি এই নকল ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ শিশুখাদ্য ডিলার হিসেবে সাপ্লাই দিয়ে আসছিলেন।
অভিযানকালে সকল ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় বিক্রয়, ভাউচার সংরক্ষণ ও মুল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়। এ সময় ব্যবসায়ীদের মাঝে সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ, সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, ক্যাব প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, নিরাপদ খাদ্য প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বিক সহযোগিতা করেন জুলফিকারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।