মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। কিডনি শরীরের যাবতীয় খারাপ পদার্থ শরীরের বাইরে বের করে দেয়। কাজেই সুস্থ থাকতে কিডনিকে সুস্থ রাখতেই হবে। চিকিৎসকদের মতে, আপনার শরীরে যদি এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়, সাবধান হোন, হয়তো আপনার অজান্তেই কিডনি বিকল হচ্ছে-
চোখের ফোলা ভাব
পর্যাপ্ত ঘুমোনোর পরেও যদি চোখের তলায় ফোলা ভাব না কমে, তা হলে বুঝতে হবে কিডনির কার্যকারিতায় কোনও সমস্যা হচ্ছে। রক্ত থেকে পুষ্টিকর পদার্থ ছেঁকে দূষিত পদার্থ বের করতে পারছে না কিডনি।
প্রস্রাবের বেগ
খুব বেশি পানি খাননি অথচ ঘনঘন প্রস্রাব পাচ্ছে মানেই বুঝতে হবে কিডনি বিকল হচ্ছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ কখনও কখনও প্রস্টেটের সমস্যারও ইঙ্গিত দেয়।
খিদে না পাওয়া
কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে খাওয়ার ইচ্ছে চলে যেতে পারে। কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ না করলে শরীরে ‘টক্সিন’-এর পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে খাওয়ার ইচ্ছে হ্রাস পেতে পারে।
বমি বমি ভাব
কিডনি বিকল হয়ে গেলে শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থ মূত্রের সঙ্গে বেরোয় না। কিডনির সমস্যার ফলে শরীরেই সেই ক্ষতিকর পদার্থগুলো জমতে থাকে। তা থেকে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
শুষ্ক ত্বক
শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করার পাশাপাশি রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা উৎপাদন করা, বিভিন্ন খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখা, হাড়ের স্বাস্থ্য— সবই নির্ভর করে কিডনির উপর। রক্তে বিভিন্ন উপাদান সঠিক মাত্রায় না থাকলে, ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।
আচমকা ওজন কমে যাওয়া
আচমকা ওজন কমে যাওয়া কিডনি বিকল হওয়ার আরেকটি বড় লক্ষণ। কিডনি যখন ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করে, তখন শরীরের ওজনও একই হারে কমতে শুরু থাকে। এমন লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পায়ের ফোলা ভাব
কিডনির সমস্যা থেকে আরেকটি সমস্যা তৈরি হয়। তা হলো পা ফুলে যাওয়া। এতে শরীরে সোডিয়াম জমতে শুরু করে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই পা ফুলে গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কিডনি খারাপ হয়ে গেলে আরও বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে মাথা ব্যথা, ঘুম কম হওয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশের চুলকানির সমস্যা বেড়ে যাওয়া।
এই ছোটখাটো লক্ষণগুলোই বড় রোগের জানান দেয়