চুয়াডাঙ্গা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদার জয়রামপুরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আত্মহত্যাঃদাফন সম্পন্ন

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কুঠিরপাড়ায় ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী। ওই আত্মাহত্যাকারী অন্তঃসত্ত্বা নারী দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কুঁঠিরপাড়ার ওয়াসিম আলীর মেয়ে।(৩ডিসেম্বর) রবিবার রাতে সে তার বাবার বাড়ির ঘরের আড়াই নিজের ওরনা পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র বলেছে, পরশু রোববার সন্ধা রাতে পরিবারের সকলের অগোচরে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের কুঁঠিরপাড়ার ওয়াসিম আলীর মেয়ে তানিয়া তানজিদ(২০) ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে রাতে তার মা আলেয়া খাতুন মেয়েকে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পেলে ডাক চিৎকার করতে থাকে। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘরে ঢুকে আড়ার সাথে তাকে ঝুঁলতে দেখে। প্রতিবেশীরা তার মরদেহটি নিচে নামিয়ে থানা পুলিশ কে খবর দেন। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে খবর পেয়ে থানা পুলিশ মরদেরটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। সোমবার ময়না তদন্তের পর মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

দামুড়হুদা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ তৌহিদুর রহমান বলেন, রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আমরা খবর পায়। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ওই সময় নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা আমাদেরকে বলেছিলো, মেয়েটির কিডনি সহ নানা রকম শারীরিক রোগ আছে। তার উপর আবার অন্তঃসত্ত্বা! হয়তো রোগ্য যন্ত্রণায় কাতর হয়ে ঘরের আড়াই ওরনা পেঁচান দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলেও তার পরিবারের লোকজন জানাই। তিনি আরও বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন বলেন, রবিবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পরক্ষণেই সেখানে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ময়না তদন্তের পর সোমবার বিকেলে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো আলমগীর কবির বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি, তবে থানাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।#####

 

 

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ
avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

দামুড়হুদার জয়রামপুরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আত্মহত্যাঃদাফন সম্পন্ন

প্রকাশ : ০৯:৫৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কুঠিরপাড়ায় ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী। ওই আত্মাহত্যাকারী অন্তঃসত্ত্বা নারী দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কুঁঠিরপাড়ার ওয়াসিম আলীর মেয়ে।(৩ডিসেম্বর) রবিবার রাতে সে তার বাবার বাড়ির ঘরের আড়াই নিজের ওরনা পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র বলেছে, পরশু রোববার সন্ধা রাতে পরিবারের সকলের অগোচরে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের কুঁঠিরপাড়ার ওয়াসিম আলীর মেয়ে তানিয়া তানজিদ(২০) ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে রাতে তার মা আলেয়া খাতুন মেয়েকে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পেলে ডাক চিৎকার করতে থাকে। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘরে ঢুকে আড়ার সাথে তাকে ঝুঁলতে দেখে। প্রতিবেশীরা তার মরদেহটি নিচে নামিয়ে থানা পুলিশ কে খবর দেন। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে খবর পেয়ে থানা পুলিশ মরদেরটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। সোমবার ময়না তদন্তের পর মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

দামুড়হুদা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ তৌহিদুর রহমান বলেন, রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে আমরা খবর পায়। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ওই সময় নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা আমাদেরকে বলেছিলো, মেয়েটির কিডনি সহ নানা রকম শারীরিক রোগ আছে। তার উপর আবার অন্তঃসত্ত্বা! হয়তো রোগ্য যন্ত্রণায় কাতর হয়ে ঘরের আড়াই ওরনা পেঁচান দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলেও তার পরিবারের লোকজন জানাই। তিনি আরও বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন বলেন, রবিবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পরক্ষণেই সেখানে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ময়না তদন্তের পর সোমবার বিকেলে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো আলমগীর কবির বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি, তবে থানাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।#####