চুয়াডাঙ্গা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-দিল্লি স্বাভাবিক সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা


ডিসেম্বরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

image 372500

ঢাকা-দিল্লি স্বাভাবিক সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, সম্পর্কের দিকে এগোনোর প্রথম ধাপ হবে ডিসেম্বরে মাঝামাঝিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফর।

বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পরবর্তী রাউন্ডে যোগ দিতে তারা ঢাকা আসবেন।

‘এটি প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টারই ইঙ্গিত’—উল্লেখ করেন তৌহিদ হোসেন।

বুধবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসকে একথা বলেন তিনি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আমরা (ঢাকা-দিল্লি) স্বাভাবিক (দ্বিপক্ষীয়) সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছি এবং এফওসি হবে সেদিকে এগুনোর প্রথম পদক্ষেপ।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লি ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে বাস্তবসম্মতভাবেই এগিয়ে যেতে পারে।

উভয় পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করি এবং আমি বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ভারতের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

উপদেষ্টা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে বলেছেন, ‘কিছু সমস্যা থাকতে পারে, এটা স্বাভাবিক। যখন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়, তখন কিছু সমস্যা দেখা দেয়। উভয় পক্ষের সুবিধার জন্য এ সমস্যাগুলো অতিক্রম করে একটি ভাল কর্ম সম্পর্ক তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের কারণে দুদেশের মধ্যে ‘সম্পর্কের উন্নতির জটিলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, তিনি প্রতিবেশী দেশে না থাকলে, বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্য প্রক্রিয়াটি সহজ হতো।

ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ এবং পরবর্তীতে তার ভারতে অবস্থান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক- যা এক সময় ‘সোনালী অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তা এখন টানাপোড়নে রয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। দলটিতে ঐতিহ্যগতভাবে স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, পানি সম্পদ ও খাদ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

সফরকালে মিশ্রি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে বার্ষিক এফওসি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/ইএস





Source link

প্রসংঙ্গ :

চট্টগ্রাম বন্দর জঞ্জালমুক্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ নৌ উপদেষ্টার

avashnews

Powered by WooCommerce

ঢাকা-দিল্লি স্বাভাবিক সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটঃ ০২:৩০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪


ডিসেম্বরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

image 372500

ঢাকা-দিল্লি স্বাভাবিক সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, সম্পর্কের দিকে এগোনোর প্রথম ধাপ হবে ডিসেম্বরে মাঝামাঝিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফর।

বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পরবর্তী রাউন্ডে যোগ দিতে তারা ঢাকা আসবেন।

‘এটি প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টারই ইঙ্গিত’—উল্লেখ করেন তৌহিদ হোসেন।

বুধবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসকে একথা বলেন তিনি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আমরা (ঢাকা-দিল্লি) স্বাভাবিক (দ্বিপক্ষীয়) সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছি এবং এফওসি হবে সেদিকে এগুনোর প্রথম পদক্ষেপ।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লি ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে বাস্তবসম্মতভাবেই এগিয়ে যেতে পারে।

উভয় পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করি এবং আমি বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ভারতের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

উপদেষ্টা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জগুলো স্বীকার করে বলেছেন, ‘কিছু সমস্যা থাকতে পারে, এটা স্বাভাবিক। যখন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়, তখন কিছু সমস্যা দেখা দেয়। উভয় পক্ষের সুবিধার জন্য এ সমস্যাগুলো অতিক্রম করে একটি ভাল কর্ম সম্পর্ক তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের কারণে দুদেশের মধ্যে ‘সম্পর্কের উন্নতির জটিলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, তিনি প্রতিবেশী দেশে না থাকলে, বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্য প্রক্রিয়াটি সহজ হতো।

ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ এবং পরবর্তীতে তার ভারতে অবস্থান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক- যা এক সময় ‘সোনালী অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তা এখন টানাপোড়নে রয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। দলটিতে ঐতিহ্যগতভাবে স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, পানি সম্পদ ও খাদ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

সফরকালে মিশ্রি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে বার্ষিক এফওসি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/ইএস





Source link