আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠলো দশরথ স্টেডিয়ামে। ৯০ মিনিটের স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইয়ের পর শেষ হাসি বাংলাদেশের মেয়েদের। স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নারী সাফ ফুটবলের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে গোল করেন মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা। ২০২২ সালে এই নেপালকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো সাফের শিরোপা জিতেছিল সাবিনারা।
প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। এই অর্ধে হতে পারত কয়েকটি গোল। কিন্তু প্রতিবারই বাধা হয়ে দাড়িয়েছে পোস্ট। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দেখা মেলে গোলের। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু তহুরার শট যায় বাইরে। পরের মিনিটেই আচমকা দারুণ একটা সুযোগ আসে, সেটা নষ্ট হয় ভাগ্যের ফেরে। গীতা রানা ভুল পাসে বল তুলে দিয়েছিলেন তহুরার পায়ে, তার শট ক্রসবারে প্রতিহত হয়।
দশম মিনিটে ভাগ্যের ছোঁয়া পায় বাংলাদেশও। সাবিত্রার পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন আমিশা কারকি, কিন্তু লাফিয়ে ওঠা রূপনাকে ফাঁকি দিয়ে বল ক্রসবার কাঁপায়।
৫২ মিনিটে লিড নেয় বাংলাদেশ। বক্সের মধ্যে দারুণ শটে নেপালের জাল কাঁপান মনিকা চাকমা। তবে এই গোলের আনন্দ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বাংলাদেশের। ৫৭ মিনিটেই ম্যাচে ফেরে নেপাল। দুর্বল রক্ষণভাগের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশর জাল কাঁপান আমিশা কার্তিক।
৬৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক শট নেন মারিয়া মান্দা। তাঁর সেই শট আরও দুর্দান্ত দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন নেপালের গোলরক্ষক আঞ্জিলা। ৭১ মিনিটে প্রতি–আক্রমণে কাছাকাছি গিয়েও গোল পায়নি নেপাল।
৮১ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বা প্রান্ত থেকে ঋতুপর্ণা চাকমার দারুণ শট নেপালের গোলরক্ষকের হাত ছুয়ে জড়ায় জালে (২-১)। এর গোলের জন্য মরিয়া ছিল নেপাল। কিন্তু সেই কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি তারা। শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতে বাংলাদেশের মেয়েরা।
অন্যদিকে নেপাল শিবির ছিল হতাশায় নিমজ্জিত। ঘরের মাঠে শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপে নেপালের ফুটবলারদের অনেকের চোখেই ছিল জল। স্টেডিয়ামে হাজার হাজার নেপালি দর্শক হাজির হয়েছিল দলকে সমর্থন যোগাতে। গলা ফাটিয়ে সমর্থন দিলেও তা কাজে লাগেনি। সাবিত্রাদের মতো তাই নেপালি দর্শকরাও ছিল বেশ হতাশ।