চুয়াডাঙ্গা ০৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কখন চুপ থাকবেন?



print news

আপনি কি জানেন, কথা বলতে জানার পাশাপাশি চুপ থাকাটাও অনেক বড় যোগ্যতা? তবে তা সব সময় নয়, বরং কখন চুপ থাকতে হবে তা জানাটা বেশি জরুরি। কখনও কখনও কথা না বলা, কথা বলার থেকেও বেশি উপকারী হতে পারে। কথা বললে যদি ঝগড়া কিংবা সমস্যা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে তাহলে নীরবতাই তখন সবচেয়ে কার্যকরী পছন্দ। কখন চুপ থাকবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক–

যখন কেউ নিজের কথা বলে: এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে কেউ সাধারণত পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা চাইতে নিজের কথা বলে না। এটা নিছক তাদের আবেগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি উপায়। যখন কেউ আপনাকে উদ্দেশ করে তার মনের কথা বলে, সেকথা খুব মনোযোগ সহকারে শুনতে ভুলবেন না। কিছু সহায়ক এবং সহানুভূতিশীল কথা তাকে বলতে পারেন, কিন্তু সে আপনার কাছে কিছু শুনতে না চাইলে তার কথার ভেতরে কথা বলবেন না। শুধু মনোযোগী হওয়া এবং সঠিকভাবে শোনা এই ধরনের পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ।

অপমানের জবাবে: অপমানের প্রতিক্রিয়া হৃদয়ে আগুন জ্বালায়, এতে আপনি সহজেই অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। এটি এমন ধারণা দিতে পারে যে আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে কেউ আপনাকে উপহাস করছে, অপমান করছে বা উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে, তাদের সফল হতে দেবেন না। এটি নিয়ন্ত্রণ করার সর্বোত্তম উপায় হলো শান্ত এবং নীরব থাকা বা কেবল দূরত্ব বজায় রাখা।

কেউ গোপন রাখতে বললে: যখন কেউ আপনাকে গোপনীয় কিছু শেয়ার করার জন্য বিশ্বাস করে, তার বিশ্বাস ভঙ্গ করেবন না। সেটি ব্যক্তিগত বা পেশাদার সম্পর্কের ক্ষেত্রেই হোক না কেন। যদি আপনি গোপন রাখতে বা সে যে তথ্য শেয়ার করছেন তা জানতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তাহলে সেকথা তাকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ।

বড়সড় তর্কের সময়: বড় কোনো তর্কের সময় আমাদের কথাগুলো অপর ব্যক্তির ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে চিন্তা করি না। আবেগ, রাগ বা হতাশার মতো বিষয়গুলো এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলদে পারে, যার ফলে আমরা এমন কিছু বলে ফেলি যার কারণে পরে অনুশোচনা হতে পারে। এই ধরনের মুহুর্তে চুপ থাকা এবং তর্কে জড়িয়ে না পড়া গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর দেওয়ার আগে শান্ত হওয়া করতে এবং চিন্তা করার জন্য সময় নিন। এটি এমন কিছু বলা থেকে আপনাকে বিরত রাখবে, যা নিয়ে আপনি পরে অনুশোচনা করতে পারেন।

যখন নিশ্চিত নন: ঘটনা না জেনে কথা বললে সমস্যা হতে পারে। আপনি কিছু ভুল বলতে পারেন, খারাপ পরামর্শ দিতে পারেন বা মানুষের বিশ্বাস হারাতে পারেন। চুপচাপ থাকা আপনাকে স্বীকার করতে সময় দেয় যে আপনি জানেন না এবং সঠিক তথ্য খুঁজে পেতে পারেন। এটি আপনাকে সৎ এবং সত্যবাদী হতে সাহায্য করবে।



Source link

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ
avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

কখন চুপ থাকবেন?

প্রকাশ : ০৮:২১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪



print news

আপনি কি জানেন, কথা বলতে জানার পাশাপাশি চুপ থাকাটাও অনেক বড় যোগ্যতা? তবে তা সব সময় নয়, বরং কখন চুপ থাকতে হবে তা জানাটা বেশি জরুরি। কখনও কখনও কথা না বলা, কথা বলার থেকেও বেশি উপকারী হতে পারে। কথা বললে যদি ঝগড়া কিংবা সমস্যা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে তাহলে নীরবতাই তখন সবচেয়ে কার্যকরী পছন্দ। কখন চুপ থাকবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক–

যখন কেউ নিজের কথা বলে: এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে কেউ সাধারণত পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা চাইতে নিজের কথা বলে না। এটা নিছক তাদের আবেগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি উপায়। যখন কেউ আপনাকে উদ্দেশ করে তার মনের কথা বলে, সেকথা খুব মনোযোগ সহকারে শুনতে ভুলবেন না। কিছু সহায়ক এবং সহানুভূতিশীল কথা তাকে বলতে পারেন, কিন্তু সে আপনার কাছে কিছু শুনতে না চাইলে তার কথার ভেতরে কথা বলবেন না। শুধু মনোযোগী হওয়া এবং সঠিকভাবে শোনা এই ধরনের পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ।

অপমানের জবাবে: অপমানের প্রতিক্রিয়া হৃদয়ে আগুন জ্বালায়, এতে আপনি সহজেই অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। এটি এমন ধারণা দিতে পারে যে আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যেখানে কেউ আপনাকে উপহাস করছে, অপমান করছে বা উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে, তাদের সফল হতে দেবেন না। এটি নিয়ন্ত্রণ করার সর্বোত্তম উপায় হলো শান্ত এবং নীরব থাকা বা কেবল দূরত্ব বজায় রাখা।

কেউ গোপন রাখতে বললে: যখন কেউ আপনাকে গোপনীয় কিছু শেয়ার করার জন্য বিশ্বাস করে, তার বিশ্বাস ভঙ্গ করেবন না। সেটি ব্যক্তিগত বা পেশাদার সম্পর্কের ক্ষেত্রেই হোক না কেন। যদি আপনি গোপন রাখতে বা সে যে তথ্য শেয়ার করছেন তা জানতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তাহলে সেকথা তাকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ।

বড়সড় তর্কের সময়: বড় কোনো তর্কের সময় আমাদের কথাগুলো অপর ব্যক্তির ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে চিন্তা করি না। আবেগ, রাগ বা হতাশার মতো বিষয়গুলো এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলদে পারে, যার ফলে আমরা এমন কিছু বলে ফেলি যার কারণে পরে অনুশোচনা হতে পারে। এই ধরনের মুহুর্তে চুপ থাকা এবং তর্কে জড়িয়ে না পড়া গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর দেওয়ার আগে শান্ত হওয়া করতে এবং চিন্তা করার জন্য সময় নিন। এটি এমন কিছু বলা থেকে আপনাকে বিরত রাখবে, যা নিয়ে আপনি পরে অনুশোচনা করতে পারেন।

যখন নিশ্চিত নন: ঘটনা না জেনে কথা বললে সমস্যা হতে পারে। আপনি কিছু ভুল বলতে পারেন, খারাপ পরামর্শ দিতে পারেন বা মানুষের বিশ্বাস হারাতে পারেন। চুপচাপ থাকা আপনাকে স্বীকার করতে সময় দেয় যে আপনি জানেন না এবং সঠিক তথ্য খুঁজে পেতে পারেন। এটি আপনাকে সৎ এবং সত্যবাদী হতে সাহায্য করবে।



Source link