চুয়াডাঙ্গা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে দিনে গরম রাতে তীব্র শীত, বেড়েছে শীতজনিত রোগ

পৌষ মাস না পড়তেই অগ্রহায়নের শীতে কাঁপছে উত্তরের হিমপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়। টানা সপ্তাহ সময় ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে এ জেলায়। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমে আসছে নিম্নস্তরে। 

 

 

রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকছে ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে, আরেকদিকে দিনে তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে থাকায় দুই রকম আবহাওয়ায় বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়। এর আগে ভোর ৬টায় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে তাপমাত্রা।

 

 

ভোর থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, ভোরেই ঝলমলে রোদ নিয়ে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণে রোদ থাকলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। সকালে রোদ থাকায় শীতের প্রভাব পড়ছে না কোন কাজকর্মে। সকালেই কাজে বেড়িয়েছেন চা ও পাথর শ্রমিক, দিনমজুর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ভোরে শিশিরভেজা সতেজ শাকসবজি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

 

সবজি চাষি দারাজ উদ্দিন ও আমজাদ আলী বলেন, দিনের বেলা গরম হলেও সন্ধ্যার পর থেকেই ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভব হতে থাকে। রাত বাড়তে থাকলে শীতের মাত্রাও বাড়তে থাকে। এমন শীত মনে হচ্ছে পৌষ মাস। ভোর পর্যন্ত কনকনে শীত থাকায় রাতে লেপ, কম্বল নিতে হয়। তবে সকাল ১০টার পর আর ঠান্ডা থাকে না। দিনে বেশ গরম এখনো। দুই রকম আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, কাশিও শ্বাসকষ্টে ভুগছে মানুষ।

 

এদিকে শীতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও  অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

 

পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, গতদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিনগুলোতে  তাপমাত্রা আরও কমবে।

এসকে দোয়েল/আরকে

সুত্র ঢাকা পোষ্ট

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

পঞ্চগড়ে দিনে গরম রাতে তীব্র শীত, বেড়েছে শীতজনিত রোগ

আপডেটঃ ১০:৫৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পৌষ মাস না পড়তেই অগ্রহায়নের শীতে কাঁপছে উত্তরের হিমপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়। টানা সপ্তাহ সময় ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে এ জেলায়। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমে আসছে নিম্নস্তরে। 

 

 

রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকছে ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে, আরেকদিকে দিনে তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে থাকায় দুই রকম আবহাওয়ায় বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়। এর আগে ভোর ৬টায় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে তাপমাত্রা।

 

 

ভোর থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, ভোরেই ঝলমলে রোদ নিয়ে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণে রোদ থাকলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। সকালে রোদ থাকায় শীতের প্রভাব পড়ছে না কোন কাজকর্মে। সকালেই কাজে বেড়িয়েছেন চা ও পাথর শ্রমিক, দিনমজুর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ভোরে শিশিরভেজা সতেজ শাকসবজি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

 

সবজি চাষি দারাজ উদ্দিন ও আমজাদ আলী বলেন, দিনের বেলা গরম হলেও সন্ধ্যার পর থেকেই ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভব হতে থাকে। রাত বাড়তে থাকলে শীতের মাত্রাও বাড়তে থাকে। এমন শীত মনে হচ্ছে পৌষ মাস। ভোর পর্যন্ত কনকনে শীত থাকায় রাতে লেপ, কম্বল নিতে হয়। তবে সকাল ১০টার পর আর ঠান্ডা থাকে না। দিনে বেশ গরম এখনো। দুই রকম আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, কাশিও শ্বাসকষ্টে ভুগছে মানুষ।

 

এদিকে শীতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও  অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

 

পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, গতদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিনগুলোতে  তাপমাত্রা আরও কমবে।

এসকে দোয়েল/আরকে

সুত্র ঢাকা পোষ্ট