আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে ২য় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু কন্যার মৃতদেহ রশিদিয়ে বাঁধা অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেওয়া বা দড়ি দিয়ে বেঁধে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
নিহত শিশুর নাম নুসরত জাহান (৯)। পিতার নাম রবিউল ইসলাম রুবেল। তাদের বাড়ী কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ী গ্রামে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সকালের কোন এক সময়। পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, রুবেলের মেয়ে নুসরত আগরদাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। শনিবার সকালে পাশের সম্বালা বসুর বাড়িতে অন্যদের সাথে খেলছিল। সবার অজান্তে সে কোথাও চলে যায়। সেই থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। বাড়ির সকলেসহ পাড়ার লোকজন গ্রামের বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজখবর নিয়েও কোন হদিস করতে পারেননি।
দুপুর ১ টার দিকে মাওঃ সোলায়মান আজিজীর পুকুরে তার মরদেহ ভাসতে দেখে সোলায়মানের স্ত্রী। এসময় দড়িদিয়ে তাকে বাঁধা ছিল। খবর পেয়ে এএসপি (তালা সার্কেল) হাসানুর রহমান, আশাশুনি থানার ওসি নজরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মরগে পাঠান হয়েছে। প্রাথমিক ধারনায় মনে করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।