চুয়াডাঙ্গা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
সিনিয়র মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ, ভিডিওগ্রাফার, অফিস সহকারী, গাড়ি চালক নেবে ঢাকা টাইমস ২৫ নভেম্বর ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই: জামায়াত আমির টাঙ্গাইলে রিমান্ড শেষে সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক কারাগারে সৈয়দপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু ‘নতুন ইসি জনগনের আশা পুরনে সফল হবে’ বিশ্বের সবচেয়ে স্লিম থ্রিডি-কার্ভড ডিজাইনের ‘হট ৫০ প্রো প্লাস’ স্মার্টফোন আনল ইনফিনিক্স ঝিনাইদহ আ’লীগের দুই সাবেক সংসদ সদস্যের আন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ আইইউটি শিক্ষার্থী সাকিবের দাফন সম্পন্ন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ১০

পলাশবাড়ীতে রাতের আঁধারে মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় এক যুবক আটক

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মনোহরপুর ইউনিয়ন এলাকায় রাতের আঁধারে পূর্ব কুমারগাড়ী সার্বজনিন কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ঘটনায় হাতে-নাত আটককৃত আক্কাস আলীকে (২৭) স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করেছে।

 

থানা পুলিশ ও ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়; (শনিবার) ১১ মার্চ দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ি বিশ্বজিৎসহ অনেকেই মুঠোফোনে বিষয়টি সম্পর্কে জানান; এসময় একই সাথে দুই যুবক মন্দিরে ঢুকে পড়ে।

 

স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের পাকড়াও করে আক্কাস আলীকে হাতে-নাতে আটক করে। সুযোগ বুঝে অপর অজ্ঞাত যুবক পালিয়ে যায়। আক্কাসকে প্রথমতঃ হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোপর্দ করা হয়। অনেকেই জানান এ ঘটনায় আক্কাস একাই ছিল। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়ে সে দিব্যি মন্দিরেই অবস্থান করছিল। আক্কাস একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী হরিনাথপুর ইউপির হরিনাবাড়ী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে বলে জানা যায়। আক্কাস নিজেকে একজন অপ্রকৃতিস্থ ও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে উল্লেখ করে।

 

মন্দিরে ঢুকেই উপূর্যপরি এলোপাথাড়ি কোঁপে কালী প্রতিমার মূর্তিটি ভাঙচুর করে মন্দিরেই বসে ছিলেন। খবর পেয়ে হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ মো. রায়হান আলী ঘটনাস্থল থেকে আটক করে তাকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নেন। কোন পর্যায় এবং কি কারণে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় সে ব্যাপারে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত বলে পুলিশ সূত্র জানায়।

 

এদিকে; খবর পেয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন। আক্কাস আলীকে নিয়ে রাত সোয়া ৩টার দিকে থানায় পৌঁছান। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়; আমার মাথা ঠিক নেই। আমার প্রতি কালীর আঁচর আছে। সে জানায় প্রায়ঃশই গালমন্দসহ মাথার সিঁদুর নিতে পারবোনা বলে কালী আমাকে শাসায়। বিষয়টি সহ্য করতে না পেয়ে জেঁদের বশবর্তী কালী প্রতিমার মাথার সিঁদুর নিতে আমি মন্দিরে ঢুকে পড়ি। এসময় কালী আমার প্রতি নানা ভীতিকর ধমকসহ উচ্চবাচ্য বলে। একারণে আমি প্রতিমাটিকে ভেঙ্গে ফেলি।

 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রতিমা ভাঙচুরের নেপথ্যে ভিন্ন কোনো অসৎ উদ্দেশ্য-রহস্য অথবা পৃথক কোনো ঘটনা কিংবা অপর কেউ জড়িত রয়েছে কি-না? সেসব ব্যাপারে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা। আক্কাস আলীকে আসামী করে মন্দির কমিটির সেক্রেটারি তপন কুমার বাদী হয়ে এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের (নং-৭ তাং-১২/৩/২০২৩) করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গাইবান্ধা কোর্টহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ছবি সংযুক্ত

জনপ্রিয় সংবাদ

সিনিয়র মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ, ভিডিওগ্রাফার, অফিস সহকারী, গাড়ি চালক নেবে ঢাকা টাইমস

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

পলাশবাড়ীতে রাতের আঁধারে মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় এক যুবক আটক

প্রকাশ : ০৯:২২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মনোহরপুর ইউনিয়ন এলাকায় রাতের আঁধারে পূর্ব কুমারগাড়ী সার্বজনিন কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ঘটনায় হাতে-নাত আটককৃত আক্কাস আলীকে (২৭) স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করেছে।

 

থানা পুলিশ ও ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়; (শনিবার) ১১ মার্চ দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ি বিশ্বজিৎসহ অনেকেই মুঠোফোনে বিষয়টি সম্পর্কে জানান; এসময় একই সাথে দুই যুবক মন্দিরে ঢুকে পড়ে।

 

স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের পাকড়াও করে আক্কাস আলীকে হাতে-নাতে আটক করে। সুযোগ বুঝে অপর অজ্ঞাত যুবক পালিয়ে যায়। আক্কাসকে প্রথমতঃ হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোপর্দ করা হয়। অনেকেই জানান এ ঘটনায় আক্কাস একাই ছিল। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়ে সে দিব্যি মন্দিরেই অবস্থান করছিল। আক্কাস একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী হরিনাথপুর ইউপির হরিনাবাড়ী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে বলে জানা যায়। আক্কাস নিজেকে একজন অপ্রকৃতিস্থ ও মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে উল্লেখ করে।

 

মন্দিরে ঢুকেই উপূর্যপরি এলোপাথাড়ি কোঁপে কালী প্রতিমার মূর্তিটি ভাঙচুর করে মন্দিরেই বসে ছিলেন। খবর পেয়ে হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ মো. রায়হান আলী ঘটনাস্থল থেকে আটক করে তাকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নেন। কোন পর্যায় এবং কি কারণে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় সে ব্যাপারে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত বলে পুলিশ সূত্র জানায়।

 

এদিকে; খবর পেয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন। আক্কাস আলীকে নিয়ে রাত সোয়া ৩টার দিকে থানায় পৌঁছান। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়; আমার মাথা ঠিক নেই। আমার প্রতি কালীর আঁচর আছে। সে জানায় প্রায়ঃশই গালমন্দসহ মাথার সিঁদুর নিতে পারবোনা বলে কালী আমাকে শাসায়। বিষয়টি সহ্য করতে না পেয়ে জেঁদের বশবর্তী কালী প্রতিমার মাথার সিঁদুর নিতে আমি মন্দিরে ঢুকে পড়ি। এসময় কালী আমার প্রতি নানা ভীতিকর ধমকসহ উচ্চবাচ্য বলে। একারণে আমি প্রতিমাটিকে ভেঙ্গে ফেলি।

 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রতিমা ভাঙচুরের নেপথ্যে ভিন্ন কোনো অসৎ উদ্দেশ্য-রহস্য অথবা পৃথক কোনো ঘটনা কিংবা অপর কেউ জড়িত রয়েছে কি-না? সেসব ব্যাপারে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা। আক্কাস আলীকে আসামী করে মন্দির কমিটির সেক্রেটারি তপন কুমার বাদী হয়ে এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের (নং-৭ তাং-১২/৩/২০২৩) করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গাইবান্ধা কোর্টহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ছবি সংযুক্ত