চুয়াডাঙ্গা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোবিন্দগঞ্জে মোঘল আমলের প্রাচীন মাস্তা লাল মসজিদ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদর হতে প্রায় ০৩ কি.মি. দক্ষিণে এবং কামারদহ ইউনিয়নের ফাঁসিতলা বাজার হতে ০১ কি.মি. উত্তরে ঢাকা রংপুর মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে মাস্তা প্রাচীন মসজিদটি অবস্থিত। বিভিন্ন জেলা থেকে যে কোন যানবাহন ব্যবহার করে মাস্তা মসজিদে আসা যায়।

 

গাইবান্ধা জেলার ওয়েবসাইডের তথ্যমতে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পুরাতন মসজিদ গুলোর মধ্যে প্রাচীন মাস্তা মসজিদ স্থাপত্যের অপর একটি নিদর্শন। কামারদহ ইউনিয়নের মাস্তা গ্রামের প্রাচীন লাল মসজিদটিই মাস্তা ‘মসজিদ’ নামে পরিচিত।

 

মসজিদ এলাকার জনশ্রুতি মতে এককালে এ এলাকায় বাদশা ফকির নামে একজন প্রভাবশালী ও ধর্মপরায়ন ব্যক্তির বাস ছিল । তিনি এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। আজও বাদশা ফকিরের মাজার মসজিদটির সামনে রয়েছে। তাঁর ও তাঁর উত্তারসুরীর আসল পরিচয় আজও মেলেনি। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কোন সময় নির্মিত হয়েছে তা কোন সূত্র থেকেই আজও জানা যায়নি।

 

তবে মসজিদের নির্মাণ কৌশল ও মোঘল আমলের মসজিদ স্থাপত্যের বৈশিষ্ঠ্যের সূত্র ধরে অনুমান করা যায় মাস্তা মসজিদটি মোঘল আমলের কোন এক সময় নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৩৫ ফুট এবং প্রস্থ ১৬ ফুট। চার কোণে চারটি স্তম্ভ রয়েছে। একই আকারের তিনটি গম্বুজ আছে। দরজা তিনটি। কোন জানালা নেই।

 

ভিতরে দুই সারিতে নামাজ আদায় হয়ে থাকে। বর্তমানে ওই মসজিদ পরিচালনা কমিটি স্থানীয় মুসল্লিদের সহযোগিতায় বারান্দার সামনে মসজিদ সম্প্রসারণ করে বড় করেছে। যাতে বেশি মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারে। তবে সরকারি ভাবে মসজিদটির স্থাপত্য ধরে রাখতে সংস্কার করার জন্য স্থানীয় মুসল্লিরা প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।

 

Powered by WooCommerce

গোবিন্দগঞ্জে মোঘল আমলের প্রাচীন মাস্তা লাল মসজিদ

আপডেটঃ ০৭:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদর হতে প্রায় ০৩ কি.মি. দক্ষিণে এবং কামারদহ ইউনিয়নের ফাঁসিতলা বাজার হতে ০১ কি.মি. উত্তরে ঢাকা রংপুর মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে মাস্তা প্রাচীন মসজিদটি অবস্থিত। বিভিন্ন জেলা থেকে যে কোন যানবাহন ব্যবহার করে মাস্তা মসজিদে আসা যায়।

 

গাইবান্ধা জেলার ওয়েবসাইডের তথ্যমতে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় পুরাতন মসজিদ গুলোর মধ্যে প্রাচীন মাস্তা মসজিদ স্থাপত্যের অপর একটি নিদর্শন। কামারদহ ইউনিয়নের মাস্তা গ্রামের প্রাচীন লাল মসজিদটিই মাস্তা ‘মসজিদ’ নামে পরিচিত।

 

মসজিদ এলাকার জনশ্রুতি মতে এককালে এ এলাকায় বাদশা ফকির নামে একজন প্রভাবশালী ও ধর্মপরায়ন ব্যক্তির বাস ছিল । তিনি এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। আজও বাদশা ফকিরের মাজার মসজিদটির সামনে রয়েছে। তাঁর ও তাঁর উত্তারসুরীর আসল পরিচয় আজও মেলেনি। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কোন সময় নির্মিত হয়েছে তা কোন সূত্র থেকেই আজও জানা যায়নি।

 

তবে মসজিদের নির্মাণ কৌশল ও মোঘল আমলের মসজিদ স্থাপত্যের বৈশিষ্ঠ্যের সূত্র ধরে অনুমান করা যায় মাস্তা মসজিদটি মোঘল আমলের কোন এক সময় নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৩৫ ফুট এবং প্রস্থ ১৬ ফুট। চার কোণে চারটি স্তম্ভ রয়েছে। একই আকারের তিনটি গম্বুজ আছে। দরজা তিনটি। কোন জানালা নেই।

 

ভিতরে দুই সারিতে নামাজ আদায় হয়ে থাকে। বর্তমানে ওই মসজিদ পরিচালনা কমিটি স্থানীয় মুসল্লিদের সহযোগিতায় বারান্দার সামনে মসজিদ সম্প্রসারণ করে বড় করেছে। যাতে বেশি মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারে। তবে সরকারি ভাবে মসজিদটির স্থাপত্য ধরে রাখতে সংস্কার করার জন্য স্থানীয় মুসল্লিরা প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।