গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় জাহাঙ্গীর আলম (৪০) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে সুরুতহাল রিপোর্ট শেষে জাহাঙ্গীরের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম।
জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের লাল মিয়া ওরফে কোনা মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, সোমবার (৫ জুন) সন্ধ্যার পর গয়েশপুর ডাবরির পাতারে ট্রাক্টরের মাটি কাটা দেখতে যায়। এরই মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে একই গ্রামের আমান মিয়ার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেজ্জাক ও নান্নু মিয়া এবং তার লোকজন নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও কিলঘুষি দিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে জাহাঙ্গীরের মা-বাবা ও ছেলে মেহেদী হাসানসহ অন্যান্য স্বজনরা
গিয়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। পরবর্তী তার মরদেহ অভিযুক্ত রেজ্জাকের বাড়িতে রেখে আসে স্বজনরা। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে সোমবার রাতেই রেজ্জাকের বাড়ি থেকে জাহাঙ্গীরের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত রেজ্জাকের পরিবারের অন্যান্য লোকজন পলাতক রয়েছে।
ওসি মাহাবুব আলম বলেন, সোমবার রাতে রাজ্জাকের বাড়ি থেকে জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই লিখন মিয়া বাদি হয়ে একটি মামলা হলে অভিযুক্ত রাজ্জাক, নান্নু ও সাজ্জাদ নামের ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।