চুয়াডাঙ্গা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় ৩ সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে কলেজছাত্রের বাড়িতে

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জুয়েল মন্ডল রহিম (২০) নামের এক কলেজছাত্রের সঙ্গে বিয়ের দাবিতে মনজিলা বেগম (৩০) নামের ৩ সন্তানের জননী অবস্থান শুরু করেছেন। এই ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে প্রেমিক রহিমের বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।

 

রোববার (২ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের কলেজ পড়ুয়া ছেলে রহিমের বাড়িতে ওই গৃহবধূ বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে কথিত প্রেমিক রহিম বাড়ি থেকে লাপাত্তা রয়েছে।

 

মনজিলা বেগম পার্শ্ববর্তী পলি লক্ষীপুর গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী।

 

স্থানীয়রা জানান, রহিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মনজিলা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে রহিম মনজিলার সঙ্গে দেখা করতে যায়। এসসয় শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা স্বামী আলমগীর টের পেয়ে তাদের হাতে-নাতে ধরে ফেলে। পরে ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য-সদস্যসহ এলাকাবাসী রাতভর দেনদরবার করেও কোনো সুরাহা টানতে পারেনি।

 

অবশেষে স্বামী আলমগীর সংসার করবে না বলে স্ত্রী মনজিলাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে মনজিলা রোববার (২ জুলাই) সকালে কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক রহিমের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করতে থাকে। এই অবস্থা বেগতিক দেখে স্বজনদের সহযোগিতায় রহিম বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।

 

মনজিলা বেগম বলেন, বিয়ের প্রলোভনে রহিম আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এখন বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এই বাড়ি ছাড়ব না।

 

এ বিসয়ে ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গ্রামপুলিশের পাহাড়ার ব‍্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনার যে কোনো একটা সমাধা করার চেষ্টা করা হবে।

Powered by WooCommerce

গাইবান্ধায় ৩ সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে কলেজছাত্রের বাড়িতে

আপডেটঃ ০৮:১৮:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জুয়েল মন্ডল রহিম (২০) নামের এক কলেজছাত্রের সঙ্গে বিয়ের দাবিতে মনজিলা বেগম (৩০) নামের ৩ সন্তানের জননী অবস্থান শুরু করেছেন। এই ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে প্রেমিক রহিমের বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।

 

রোববার (২ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের কলেজ পড়ুয়া ছেলে রহিমের বাড়িতে ওই গৃহবধূ বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে কথিত প্রেমিক রহিম বাড়ি থেকে লাপাত্তা রয়েছে।

 

মনজিলা বেগম পার্শ্ববর্তী পলি লক্ষীপুর গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী।

 

স্থানীয়রা জানান, রহিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন মনজিলা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে রহিম মনজিলার সঙ্গে দেখা করতে যায়। এসসয় শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা স্বামী আলমগীর টের পেয়ে তাদের হাতে-নাতে ধরে ফেলে। পরে ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য-সদস্যসহ এলাকাবাসী রাতভর দেনদরবার করেও কোনো সুরাহা টানতে পারেনি।

 

অবশেষে স্বামী আলমগীর সংসার করবে না বলে স্ত্রী মনজিলাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে মনজিলা রোববার (২ জুলাই) সকালে কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক রহিমের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করতে থাকে। এই অবস্থা বেগতিক দেখে স্বজনদের সহযোগিতায় রহিম বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।

 

মনজিলা বেগম বলেন, বিয়ের প্রলোভনে রহিম আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এখন বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এই বাড়ি ছাড়ব না।

 

এ বিসয়ে ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গ্রামপুলিশের পাহাড়ার ব‍্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনার যে কোনো একটা সমাধা করার চেষ্টা করা হবে।