যশোরের বেনাপোল দিয়ে ভারতের পণ্য রপ্তানি বন্ধ আছে। তবে আমদানি স্বাভাবিকভাবেই চলছে। বেনাপোল স্থলবন্দরে স্ক্যানার বসানোর দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী পাঁচটি সংগঠন।
গত শনিবার থেকে এই কর্মবিরতি কমসূচি চলছে। এদিকে, বন্দর এলাকায় মাল লোড-আনলোডের জন্য ট্রাকে লম্বা লাইন পড়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পেট্রাপোল বন্দরের প্রবেশমুখে স্ক্যানার বসানোর দাবিতে তাদের শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতিতে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি বন্ধ আছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ ষ্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ সাতক্ষীরার মোস্তফা অর্গানিক নামক একটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩ টন তেলাপিয়া মাছ বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ট্রাক থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার জব্দ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
এ ঘটনায় বাংলাদেশি ট্রাক চালক সুশঙ্কর দাস ও ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্য লাল্টুর বিরুদ্ধে মামলা দেয় বিএসএফ। তাদের গ্রেফতার করে পেট্রাপোল থানা পুলিশ। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের প্রবেশমুখে দুটি স্ক্যানার মেশিন স্থাপনের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন।
তিনি আরো জানান, শুক্রবার বিকালের পর রফতানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো বন্দর এলাকায় অবস্থান করছে। এতে বন্দর এলাকায় যেমন ট্রাকজট তৈরি হচ্ছে, তেমনি ট্রাকের ‘ডেমারেজ’ বাবদ জরিমানাও গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, শুক্রবার বিকেলে আসা ট্রাক ফিরতে পারেনি। ফলে তিনদিন ধরে বেনাপোল বন্দরে ট্রাক জট বেঁধেছে।