চুয়াডাঙ্গা ১১:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারত ভ্রমণে লাগবে না করোনা টিকার সনদ

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে পাসপোর্টধারীদের বাধ্যতামূলক করোনা টিকা সনদ প্রদান শিথিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এখন থেকে কেবল পাসপোর্ট-ভিসা থাকলে যাতায়াত করা যাবে দুই দেশের মধ্যে। এতে ঝামেলামুক্ত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের।

 

দেশ এবং বিশ্বের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি, আক্রান্ত ও মৃত্যুহার সবকিছু বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরে দেশের সবগুলো স্থলবন্দর, নৌবন্দর, বিমানবন্দর ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়। এতে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো টিকা সনদ বা করোনা পরীক্ষার কাগজ ছাড়া পাসপোর্টধারীরা ভারত যাতায়াতের সুযোগ পান বলে জানায় উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

 

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার পাসপোর্টধারী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে। যাদের ৫০ শতাংশ চিকিৎসা, ৩৫ শতাংশ দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ, ৫ শতাংশ ব্যবসা ও ১০ শতাংশ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে ভারতে যায়।

ভারতগামী যাত্রী পরিমল দেবনাথ বলেন, করোনার সব শর্ত তুলে নেওয়ায় ভোগান্তি ছাড়া স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারছি।

 

পাসপোর্টধারী যাত্রী রহমান জানান, করোনার বিধিনিষেধ প্রত্যাহারে স্বস্তি ফিরলেও যাত্রী পারাপারে বন্দরের আরও ভালো ব্যবস্থাপনা দরকার।

 

উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা লক্ষিন্দার কুমার দে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি হাতে পেয়েছি। এখন থেকে করোনার সব শর্ত শিথিল করা হয়েছে। টিকা সনদ বা করোনা পরীক্ষার কোনো কাগজ ভারত ভ্রমণ কিংবা ফেরার সময় লাগবে না। এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ইমিগ্রেশনে টানানো হয়েছে।

 

২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। এতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নানান শর্ত ও বিধিনিষেধ জারি করে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আটকা ব্যবসা, চিকিৎসা ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ বাধা হয়। বিদেশ থেকে ফিরে ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন, বিদেশ যেতে করোনা পরীক্ষার সনদ গ্রহণে একদিকে ভোগান্তি অন্য দিকে অর্থদণ্ড গুনতে হয়েছে।

 

গত মাসের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪২ হাজার ৫৫৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৬২ জনের। তবে করোনার দ্বিতীয় বছর থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করে দেশে। এতে ধীরে ধীরে শর্ত শিথিল করে সরকার।

Powered by WooCommerce

বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারত ভ্রমণে লাগবে না করোনা টিকার সনদ

আপডেটঃ ০৮:২৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে পাসপোর্টধারীদের বাধ্যতামূলক করোনা টিকা সনদ প্রদান শিথিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এখন থেকে কেবল পাসপোর্ট-ভিসা থাকলে যাতায়াত করা যাবে দুই দেশের মধ্যে। এতে ঝামেলামুক্ত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের।

 

দেশ এবং বিশ্বের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি, আক্রান্ত ও মৃত্যুহার সবকিছু বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরে দেশের সবগুলো স্থলবন্দর, নৌবন্দর, বিমানবন্দর ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়। এতে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো টিকা সনদ বা করোনা পরীক্ষার কাগজ ছাড়া পাসপোর্টধারীরা ভারত যাতায়াতের সুযোগ পান বলে জানায় উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

 

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার পাসপোর্টধারী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে। যাদের ৫০ শতাংশ চিকিৎসা, ৩৫ শতাংশ দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ, ৫ শতাংশ ব্যবসা ও ১০ শতাংশ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে ভারতে যায়।

ভারতগামী যাত্রী পরিমল দেবনাথ বলেন, করোনার সব শর্ত তুলে নেওয়ায় ভোগান্তি ছাড়া স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারছি।

 

পাসপোর্টধারী যাত্রী রহমান জানান, করোনার বিধিনিষেধ প্রত্যাহারে স্বস্তি ফিরলেও যাত্রী পারাপারে বন্দরের আরও ভালো ব্যবস্থাপনা দরকার।

 

উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা লক্ষিন্দার কুমার দে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি হাতে পেয়েছি। এখন থেকে করোনার সব শর্ত শিথিল করা হয়েছে। টিকা সনদ বা করোনা পরীক্ষার কোনো কাগজ ভারত ভ্রমণ কিংবা ফেরার সময় লাগবে না। এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ইমিগ্রেশনে টানানো হয়েছে।

 

২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। এতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নানান শর্ত ও বিধিনিষেধ জারি করে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আটকা ব্যবসা, চিকিৎসা ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ বাধা হয়। বিদেশ থেকে ফিরে ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন, বিদেশ যেতে করোনা পরীক্ষার সনদ গ্রহণে একদিকে ভোগান্তি অন্য দিকে অর্থদণ্ড গুনতে হয়েছে।

 

গত মাসের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪২ হাজার ৫৫৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৬২ জনের। তবে করোনার দ্বিতীয় বছর থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করে দেশে। এতে ধীরে ধীরে শর্ত শিথিল করে সরকার।