চুয়াডাঙ্গা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল স্থল বন্দরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আমদানিকৃত একটি পণ্য চালান আটক

আবারও বেনাপোল স্থল বন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ঘোষনা বহির্ভূত আমদানিকৃত ফিস মিল এর মধ্যে শুটকী মাছ এর একটি পণ্য চালান আটক করেছে। জাতিয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এন এসআই ) তথ্যের ভিত্তিতে পণ্য চালানটি গত ২৯/১০/২০২৪ তারিখ রাত্রে আটক করে।

 

বেনাপোল স্থল বন্দরে পণ্য চালানটি গত ২৯/১০/২০২৪ তারিখে ভারতীয় ট্রাক ডাব্লিউ ২৫-এফ-৭৭২৩, ডাব্লিউ ২৩-সি-১২৪১, ডাব্লিউ ২৩-এফ ২৩৮৮ নং তিনটি ট্রাক প্রবেশ করে। যার আমদানি কারক শামিম এন্টারপ্রাইজ যশোর, এবং রপ্তানিকারক আর এসটি ইনোভেটিভ সলুশন এল এল পি ইন্ডিয়া। এবং খালাসকৃত সিএন্ডএফ এজেন্ট প্যারেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিজিনেস সেন্টার বেনাপোল। পণ্যচালানটির এলসি নং০৯১৪২৪০১০৪৬৪ তারিখ ২১/১০/২০২৪ ম্যানিফেস্ট নং ৬০১২০২৪০০৩০০০৮৬১৭ তারিখ ২৮/১০/২০২৪ বিল অব এন্ট্রি নং ৯৩৪৮৩ তারিখ ২৪/১০/২০২৪। পণ্য চালানটির প্যাকেজ ২০১৪ বস্তা। গ্রোজ ওয়েট ৫০১৬৪ কেজি নিট ওয়েট ৪৮১৫০ কেজি। পণ্যর মুল্য এইচ এস কোড অনুযায়ী ১৯,২৬০ মার্কিন ডলার।

 

জাতিয় গোয়েন্দা সংস্থা মারফত জানা গেছে উক্ত তিনটি ট্রাক মাছে খাবার নিয়ে বেনাপোল স্থল বন্দরে প্রবেশ এর পর খবর আসে ট্রাক তিনটিতে মোট ৫০ টন পণ্য আছে। এর মধ্যে মাছের খাবার আছে ২৪ টন এবং শুটকি মাছ আছে ২৬ টন। সে মোতাবেক তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে তথ্য দিলে পণ্য চালানটি কায়িক পরীক্ষনের জন্য আটক করা হয়।

 

সরেজমিনে স্থল বন্দর বেনাপোল এর ৩১ নং ইয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে কাস্টমস এর রেভিনিউ অফিসার (আরও) জাহিদ হোসেন জেসি হাফিজুর রহমান ও ডেপুটি কমিশনার অথৈলা চৌধুরী ট্রাক থেকে পণ্য চালানটি নামিয়ে পরীক্ষা করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কত টন শুটকি আছে তা জানা যায়নি।

 

উক্ত পণ্য চালানটি চিনার জন্য শুটকি মাছের বস্তাগুলি পাটের সুতালি দিয়ে মুখ বাঁধা অপরদিকে ফিস মিল এর বস্তাগুলি প্লাষ্টিকের সুতা দিয়ে মুখ বাধা। শুল্ক চোরেরা তাদের পণ্য দ্রুত চেনার উপায়ের জন্য ভারতের কোলকাতা থেকে রপ্তানি প্রতিষ্ঠানে বসে এ পন্থা অবলম্বন করে।

 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেনাপোল কাস্টমস এর ডেপুটি কমিশনার অথৈলা চৌধুরী বলেন, পরীক্ষনের জন্য তিনটি ট্রাকের পণ্যগুলি নামিয়ে আলাদা করা হচ্ছে। এরপর ওজন করলে বুঝা যাবে কত টন শুটকি এনেছে এবং এইচ এস কোড অনুযায়ী কি পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চ্ষ্টো করা হচ্ছিল।

 

এরপর আমদানি কারক ও সিএন্ড এফ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আইন অনুযায়ী পরীক্ষন শেষে কমিশনার মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গঃ
avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

বেনাপোল স্থল বন্দরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আমদানিকৃত একটি পণ্য চালান আটক

প্রকাশ : ০৬:০৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

আবারও বেনাপোল স্থল বন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ঘোষনা বহির্ভূত আমদানিকৃত ফিস মিল এর মধ্যে শুটকী মাছ এর একটি পণ্য চালান আটক করেছে। জাতিয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এন এসআই ) তথ্যের ভিত্তিতে পণ্য চালানটি গত ২৯/১০/২০২৪ তারিখ রাত্রে আটক করে।

 

বেনাপোল স্থল বন্দরে পণ্য চালানটি গত ২৯/১০/২০২৪ তারিখে ভারতীয় ট্রাক ডাব্লিউ ২৫-এফ-৭৭২৩, ডাব্লিউ ২৩-সি-১২৪১, ডাব্লিউ ২৩-এফ ২৩৮৮ নং তিনটি ট্রাক প্রবেশ করে। যার আমদানি কারক শামিম এন্টারপ্রাইজ যশোর, এবং রপ্তানিকারক আর এসটি ইনোভেটিভ সলুশন এল এল পি ইন্ডিয়া। এবং খালাসকৃত সিএন্ডএফ এজেন্ট প্যারেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিজিনেস সেন্টার বেনাপোল। পণ্যচালানটির এলসি নং০৯১৪২৪০১০৪৬৪ তারিখ ২১/১০/২০২৪ ম্যানিফেস্ট নং ৬০১২০২৪০০৩০০০৮৬১৭ তারিখ ২৮/১০/২০২৪ বিল অব এন্ট্রি নং ৯৩৪৮৩ তারিখ ২৪/১০/২০২৪। পণ্য চালানটির প্যাকেজ ২০১৪ বস্তা। গ্রোজ ওয়েট ৫০১৬৪ কেজি নিট ওয়েট ৪৮১৫০ কেজি। পণ্যর মুল্য এইচ এস কোড অনুযায়ী ১৯,২৬০ মার্কিন ডলার।

 

জাতিয় গোয়েন্দা সংস্থা মারফত জানা গেছে উক্ত তিনটি ট্রাক মাছে খাবার নিয়ে বেনাপোল স্থল বন্দরে প্রবেশ এর পর খবর আসে ট্রাক তিনটিতে মোট ৫০ টন পণ্য আছে। এর মধ্যে মাছের খাবার আছে ২৪ টন এবং শুটকি মাছ আছে ২৬ টন। সে মোতাবেক তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে তথ্য দিলে পণ্য চালানটি কায়িক পরীক্ষনের জন্য আটক করা হয়।

 

সরেজমিনে স্থল বন্দর বেনাপোল এর ৩১ নং ইয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে কাস্টমস এর রেভিনিউ অফিসার (আরও) জাহিদ হোসেন জেসি হাফিজুর রহমান ও ডেপুটি কমিশনার অথৈলা চৌধুরী ট্রাক থেকে পণ্য চালানটি নামিয়ে পরীক্ষা করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কত টন শুটকি আছে তা জানা যায়নি।

 

উক্ত পণ্য চালানটি চিনার জন্য শুটকি মাছের বস্তাগুলি পাটের সুতালি দিয়ে মুখ বাঁধা অপরদিকে ফিস মিল এর বস্তাগুলি প্লাষ্টিকের সুতা দিয়ে মুখ বাধা। শুল্ক চোরেরা তাদের পণ্য দ্রুত চেনার উপায়ের জন্য ভারতের কোলকাতা থেকে রপ্তানি প্রতিষ্ঠানে বসে এ পন্থা অবলম্বন করে।

 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বেনাপোল কাস্টমস এর ডেপুটি কমিশনার অথৈলা চৌধুরী বলেন, পরীক্ষনের জন্য তিনটি ট্রাকের পণ্যগুলি নামিয়ে আলাদা করা হচ্ছে। এরপর ওজন করলে বুঝা যাবে কত টন শুটকি এনেছে এবং এইচ এস কোড অনুযায়ী কি পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চ্ষ্টো করা হচ্ছিল।

 

এরপর আমদানি কারক ও সিএন্ড এফ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আইন অনুযায়ী পরীক্ষন শেষে কমিশনার মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।