চুয়াডাঙ্গা ১১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
দীর্ঘ ২৮ বছর পর লক্ষ্মীপুরে গণ জমায়েত জামায়াতে ইসলামীর পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি Pliwc Job circular 2025 ৪০৮ আরোহী নিয়ে ভারতে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান ফ্যাসিবাদ যতই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, পারবে না: জামায়াত আমির দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? | Barta Bazar আমরা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী : ড. ইউনূস জীবন বীমা কর্পোরেশন চাকরির খবর JBC Job Circular 2025 তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ২২ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসর, অন্যদের ওএসডির সিদ্ধান্ত

নওগাঁর বদলগাছীতে গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউপির মিঠাপুর (নতুন পাড়া) গ্রামের সিদ্দিকের স্ত্রী মিনা বেগম (৩০) কে একই গ্রামের মৃত সামাদ মন্ডলের ছেলে ওয়াহেদ আলী (৫০) কর্তৃক গৃহবধু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত অভিযোগটি ধামাচাপার চেষ্টা মর্মে এলাকায় তোলপাড়।

 

জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৮ ঘটিকায় সিদ্দিকের স্ত্রী মিনা বেগম তার পরিবারিক কাজ করছিলেন। এমন সময় ওয়াহেদ আলী সিদ্দিকের বাড়ীতে গিয়ে স্ত্রী মিনা বেগমের সাথে গরুর মাংস কেনা নিয়ে গল্প করেন, তার স্বামী বাড়িতে আছে কিনা তাও জিঙ্গাস করেন।
মিনা বেগম নিজ কাজে ঘরের ভিতরে গেলে ওয়াহেদ আলী সুযোগ বুঝে তার পিছনে পিছনে গিয়ে ঝাপটে ধরিয়া রিদয় বিদারক ভাবে আলিঙ্গন করিতে এবং জোর জবরদস্তি করে ধর্ষণের চেষ্টা করিলে। ঘটনা টের পেয়ে সিদ্দিকের বড় ভাই আব্দুস সালাম মিনা বেগমের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করেন।আপত্তিকর অবস্থা দেখিয়া লাঠি দিয়ে আঘাত করিলে ওয়াহেদ আলী দ্রুত ঘটনা স্থান থেকে দৌডে পালিয়ে যায়।

 

স্থানীয় ভ্যানচালক মিঠুর বলেন, ঘটনা সত্য, শুধু এই ঘটনা নয় ইতোপূর্বে একই গ্রামের আদিবাসী মহিলা সুমিতি রাণী কেও ২০০৮ সালে তার লালসার স্বীকার হতে হয়েছে। এবং সুমিতা রাণীর ঘরে ওয়াহেদ আলীর ঔরসজাতক একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। উক্ত ছেলের নাম মোঃ ঈসা। এখন সেই ছেলের বয়স প্রায় ১৪ বছর।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, ওয়াহেদ আলী ইতোপূর্বে ও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। এবং গ্রাম্য সালিশে এক রকম দফা-রফার মধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। ঐ ঘটনার ফলস্বরূপ তার ঔরসজাতক সন্তান এখন পথে পথে ঘুরতেছে। আমরা এলাকাবাসি এ ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করতেছি।এলাকাবাসী আরো জানান গত ২৮ তারিখ শুক্রবার ওয়াহেদ আলী লোক লজ্জায় জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে আসেনি।

 

এ বিষয়ে মিনা বেগম বলেন,আমি ঘরের মধ্যে ছিলাম পিছন থেকে ওয়াহেদ আলী আমাকে ঝাপটে ধরিয়া ধর্ষণের চেষ্টা করিতে থাকিলে আমার বাসুর সালাম দেখিতে পাইয়া লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে ওয়াহেদ আলী পালিয়ে যায়।

 

ঘটনার স্বাক্ষী আব্দুস সালাম বলেন, আমি সিদ্দিকের বাড়ীর পাশ দিয়ে আসার সময় দেখি মিনার সাথে ওয়াহেদ আলী গল্প করতেছিল। আমি বাড়ীতে চলে আসি।বাড়ীতে আসার পর মনে সন্দেহ হলে আবার সিদ্দিকের বাড়ীতে দক্ষিণ দুয়ারী শয়ন ঘরে যাইয়া মিনা ও ওয়াহেদকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখিতে পাইয়া দরজার পাশে থাকা লাঠি দিয়ে মারপিট করিতে থাকিলে ওয়াহেদ আলী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গ্রাম্য মাতবর মোজাম্মেল হক জানান, ঘটনা সত্য, যেহেতু গ্রামের বিষয় তাই গ্রামে বসে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।

 

ধর্ষণ চেষ্টাকারী ওয়াহেদ আলীর বাড়িতে গেলে দেখা না পাওয়ায় তার মুঠোফোনে বারংবার কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃহারুনুর রশিদ বলেন,শুনেছি ঘটনা সত্য।আপোষ মিমাংসার করে দেওয়া জন্য ওয়াহেদ আলীর ভাই আঃ রশিদ যোগাযোগ করেছিল।

 

বদলগাছী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি , এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

avashnews

দীর্ঘ ২৮ বছর পর লক্ষ্মীপুরে গণ জমায়েত জামায়াতে ইসলামীর

avashnews

Powered by WooCommerce

নওগাঁর বদলগাছীতে গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আপডেটঃ ০৮:৪০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউপির মিঠাপুর (নতুন পাড়া) গ্রামের সিদ্দিকের স্ত্রী মিনা বেগম (৩০) কে একই গ্রামের মৃত সামাদ মন্ডলের ছেলে ওয়াহেদ আলী (৫০) কর্তৃক গৃহবধু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত অভিযোগটি ধামাচাপার চেষ্টা মর্মে এলাকায় তোলপাড়।

 

জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৮ ঘটিকায় সিদ্দিকের স্ত্রী মিনা বেগম তার পরিবারিক কাজ করছিলেন। এমন সময় ওয়াহেদ আলী সিদ্দিকের বাড়ীতে গিয়ে স্ত্রী মিনা বেগমের সাথে গরুর মাংস কেনা নিয়ে গল্প করেন, তার স্বামী বাড়িতে আছে কিনা তাও জিঙ্গাস করেন।
মিনা বেগম নিজ কাজে ঘরের ভিতরে গেলে ওয়াহেদ আলী সুযোগ বুঝে তার পিছনে পিছনে গিয়ে ঝাপটে ধরিয়া রিদয় বিদারক ভাবে আলিঙ্গন করিতে এবং জোর জবরদস্তি করে ধর্ষণের চেষ্টা করিলে। ঘটনা টের পেয়ে সিদ্দিকের বড় ভাই আব্দুস সালাম মিনা বেগমের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করেন।আপত্তিকর অবস্থা দেখিয়া লাঠি দিয়ে আঘাত করিলে ওয়াহেদ আলী দ্রুত ঘটনা স্থান থেকে দৌডে পালিয়ে যায়।

 

স্থানীয় ভ্যানচালক মিঠুর বলেন, ঘটনা সত্য, শুধু এই ঘটনা নয় ইতোপূর্বে একই গ্রামের আদিবাসী মহিলা সুমিতি রাণী কেও ২০০৮ সালে তার লালসার স্বীকার হতে হয়েছে। এবং সুমিতা রাণীর ঘরে ওয়াহেদ আলীর ঔরসজাতক একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। উক্ত ছেলের নাম মোঃ ঈসা। এখন সেই ছেলের বয়স প্রায় ১৪ বছর।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, ওয়াহেদ আলী ইতোপূর্বে ও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। এবং গ্রাম্য সালিশে এক রকম দফা-রফার মধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। ঐ ঘটনার ফলস্বরূপ তার ঔরসজাতক সন্তান এখন পথে পথে ঘুরতেছে। আমরা এলাকাবাসি এ ধরনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করতেছি।এলাকাবাসী আরো জানান গত ২৮ তারিখ শুক্রবার ওয়াহেদ আলী লোক লজ্জায় জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে আসেনি।

 

এ বিষয়ে মিনা বেগম বলেন,আমি ঘরের মধ্যে ছিলাম পিছন থেকে ওয়াহেদ আলী আমাকে ঝাপটে ধরিয়া ধর্ষণের চেষ্টা করিতে থাকিলে আমার বাসুর সালাম দেখিতে পাইয়া লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে ওয়াহেদ আলী পালিয়ে যায়।

 

ঘটনার স্বাক্ষী আব্দুস সালাম বলেন, আমি সিদ্দিকের বাড়ীর পাশ দিয়ে আসার সময় দেখি মিনার সাথে ওয়াহেদ আলী গল্প করতেছিল। আমি বাড়ীতে চলে আসি।বাড়ীতে আসার পর মনে সন্দেহ হলে আবার সিদ্দিকের বাড়ীতে দক্ষিণ দুয়ারী শয়ন ঘরে যাইয়া মিনা ও ওয়াহেদকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখিতে পাইয়া দরজার পাশে থাকা লাঠি দিয়ে মারপিট করিতে থাকিলে ওয়াহেদ আলী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গ্রাম্য মাতবর মোজাম্মেল হক জানান, ঘটনা সত্য, যেহেতু গ্রামের বিষয় তাই গ্রামে বসে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে।

 

ধর্ষণ চেষ্টাকারী ওয়াহেদ আলীর বাড়িতে গেলে দেখা না পাওয়ায় তার মুঠোফোনে বারংবার কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃহারুনুর রশিদ বলেন,শুনেছি ঘটনা সত্য।আপোষ মিমাংসার করে দেওয়া জন্য ওয়াহেদ আলীর ভাই আঃ রশিদ যোগাযোগ করেছিল।

 

বদলগাছী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতিয়ার রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি , এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।