চুয়াডাঙ্গা ১১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন থেকে জাহাজে চট্টগ্রাম এলো আমদানি করা গম

মানুষ যুদ্ধ করে এই দেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে সঠিক ও যেকোন কালিমা মুক্ত রাখবে। এটি সর্বসাধারণের শপথ বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কর্তৃক ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষক ভারত সরকার ও তাদের গণমাধ্যমের অবিরাম মিথ্যা প্রচারণা এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ আয়োজিত আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। প্রত্যেকটি ইনস্টিটিউশনকে ধ্বংস করে দিয়েছে তিনি। তিনি আজকে আবার তার সাবেক আশ্রয়স্থল ভারতে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য, আনস্টেবল করার জন্য। আমি অবাক হয়ে যাই পৃথিবীর বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কীভাবে তাকে আশ্রয় দিলো। তারা কী ৫ আগস্টের লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রমত্ত ঢেউ দেখেনি ? যেটি দেখে শেখ হাসিনা এমনকি ইউনিফর্মধারী বাহিনী পর্যন্ত পালিয়ে গিয়েছিলো। এই দৃশ্য দেখার পর কিভাবে তারা (ভারত) কল্পনা করে কিভাবে হিসাব করে দেশ দখল করতে কতদিন লাগবে।

 

মেজর হাফিজ আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রে নাই। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া কল্পকাহিনী ছড়িয়ে বেরাচ্ছে যে এখানে (বাংলাদেশে) হিন্দুদের উপর অন্যায় অবিচার করা হচ্ছে। এই ধরনের কল্পকাহিনী ছড়িয়ে তারা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় যে বাংলাদেশের মানুষ একপেশে, বাংলাদেশে কারও জীবন নিরাপদ নয়। আমরা সম্পূর্ণ এই মিথ্যাচারের নিন্দা জানাচ্ছি।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের জাতির বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে গেলে বারবার তাদেরকে চিন্তা করতে হবে। যত বড় শক্তিই হোক। আরে ভারত তো কিছুই না। এর থেকে বড় শক্তিও যদি আসে তাহলেও বাংলাদেশকে পদানত করতে পারবে না। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফলে নতুন এক বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, নতুন এক বাংলাদেশ আমরা সৃষ্টি করবো। যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না, যেখানে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ কোন কটাক্ষ করতে পারবে না। কোন ভারতীয় দালাল বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। এখন আর কথা বলার সময় নাই এখন একশনে যাবার সময়।

 

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পরে অনেক মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হয়েছে। যেমন ৫ আগস্ট এর পরে অনেক জাতীয়তাবাদীর সৈনিক তৈরি হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে ৭১ সালে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ না করেও রাজাকারদের সাথে ছবি তোলে পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে নাম লিখিয়েছে। এই ইতিহাস বর্তমান প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম জানবে কিনা আমার জানা নেই।

 

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় (ভারত) আমাদের বন্ধু ছিল। কিন্তু এরা যে কখন বন্ধু, কখন শত্রু এটা বুঝতে হলে আমাদেরকে আরো কয়েকশো বছর বাঁচতে হবে। তারা এখন শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যাদেরকে দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল হয় তারা (ভারত) শুধু তাদেরকেই আশ্রয় দেয়। ভারত শেখ হাসিনার চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে; এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক হবে না।

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ। সমাবেশ শেষে তারা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন।

Source link

Powered by WooCommerce

ইউক্রেন থেকে জাহাজে চট্টগ্রাম এলো আমদানি করা গম

আপডেটঃ ০৩:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

মানুষ যুদ্ধ করে এই দেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে সঠিক ও যেকোন কালিমা মুক্ত রাখবে। এটি সর্বসাধারণের শপথ বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কর্তৃক ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষক ভারত সরকার ও তাদের গণমাধ্যমের অবিরাম মিথ্যা প্রচারণা এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ আয়োজিত আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। প্রত্যেকটি ইনস্টিটিউশনকে ধ্বংস করে দিয়েছে তিনি। তিনি আজকে আবার তার সাবেক আশ্রয়স্থল ভারতে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য, আনস্টেবল করার জন্য। আমি অবাক হয়ে যাই পৃথিবীর বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কীভাবে তাকে আশ্রয় দিলো। তারা কী ৫ আগস্টের লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রমত্ত ঢেউ দেখেনি ? যেটি দেখে শেখ হাসিনা এমনকি ইউনিফর্মধারী বাহিনী পর্যন্ত পালিয়ে গিয়েছিলো। এই দৃশ্য দেখার পর কিভাবে তারা (ভারত) কল্পনা করে কিভাবে হিসাব করে দেশ দখল করতে কতদিন লাগবে।

 

মেজর হাফিজ আরও বলেন, বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রে নাই। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া কল্পকাহিনী ছড়িয়ে বেরাচ্ছে যে এখানে (বাংলাদেশে) হিন্দুদের উপর অন্যায় অবিচার করা হচ্ছে। এই ধরনের কল্পকাহিনী ছড়িয়ে তারা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় যে বাংলাদেশের মানুষ একপেশে, বাংলাদেশে কারও জীবন নিরাপদ নয়। আমরা সম্পূর্ণ এই মিথ্যাচারের নিন্দা জানাচ্ছি।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমাদের জাতির বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে গেলে বারবার তাদেরকে চিন্তা করতে হবে। যত বড় শক্তিই হোক। আরে ভারত তো কিছুই না। এর থেকে বড় শক্তিও যদি আসে তাহলেও বাংলাদেশকে পদানত করতে পারবে না। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফলে নতুন এক বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, নতুন এক বাংলাদেশ আমরা সৃষ্টি করবো। যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না, যেখানে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ কোন কটাক্ষ করতে পারবে না। কোন ভারতীয় দালাল বাংলাদেশে থাকতে পারবে না। এখন আর কথা বলার সময় নাই এখন একশনে যাবার সময়।

 

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পরে অনেক মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হয়েছে। যেমন ৫ আগস্ট এর পরে অনেক জাতীয়তাবাদীর সৈনিক তৈরি হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে ৭১ সালে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ না করেও রাজাকারদের সাথে ছবি তোলে পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে নাম লিখিয়েছে। এই ইতিহাস বর্তমান প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম জানবে কিনা আমার জানা নেই।

 

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় (ভারত) আমাদের বন্ধু ছিল। কিন্তু এরা যে কখন বন্ধু, কখন শত্রু এটা বুঝতে হলে আমাদেরকে আরো কয়েকশো বছর বাঁচতে হবে। তারা এখন শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যাদেরকে দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল হয় তারা (ভারত) শুধু তাদেরকেই আশ্রয় দেয়। ভারত শেখ হাসিনার চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখে; এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক হবে না।

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ। সমাবেশ শেষে তারা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হন।

Source link