চুয়াডাঙ্গা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে দাদিকে হত্যা করে বুকের ওপর বসে ছিল নাতি!

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে রশিয়া বেগম (৮২) নামে এক বৃদ্ধাকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বলরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মনির উদ্দিন মণ্ডলের স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিহতের নাতি আব্দুল মান্নানকে আটক করেছে পুলিশ।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আটক মান্নান সময়ে সময়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ঘটনার দিন বিকেল থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মা-বাবাসহ বাড়ির লোকদের ওপর চড়াও হন। তার আচরণে ভীত হয়ে বাড়ি ছেড়ে পাশের গ্রামে চলে যান স্বজনরা। রাতে তিনি সবাইকে বাড়িতে ডেকে আনেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে দাদির শোবার ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে ধরে উঠানে নিয়ে উপর্যুপরি হাতুড়িপেটা করেন। এ সময় তাঁকে প্লায়ার ও কুর্নি দিয়েও দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।

 

আব্দুল মান্নানের বাবা ও নিহতের ছেলে ফজলুর রহমান বলেন, দিনের বেলায় ছেলের অস্বাভাবিক আচরণে তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পাশের গ্রামে চলে যান। পরে রাতে ছেলে তাঁদের ডেকে আনে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী ছেলের ভয়ে বাড়িতে না ঘুমিয়ে রাস্তায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন। মায়ের চিৎকারে বাড়িতে গিয়ে তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাঁদের মারতে তাড়া করে। পরে ভয়ে তাঁরা দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে গ্রামবাসীকে খবর দেন।

 

তিনি আরো জানান, মাকে হত্যা করে তাঁর বুকের ওপর বসে ছিল মান্নান। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলে মাঝে মাঝে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তখন সে সবাইকে মারতে উদ্যত হয়। তবে দুই-এক দিন পরে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। এর আগেও একবার সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিল।

হরিণাকুণ্ডু থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আসামিকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

avashnews

Powered by WooCommerce

ঝিনাইদহে দাদিকে হত্যা করে বুকের ওপর বসে ছিল নাতি!

আপডেটঃ ০৭:০০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে রশিয়া বেগম (৮২) নামে এক বৃদ্ধাকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বলরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মনির উদ্দিন মণ্ডলের স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিহতের নাতি আব্দুল মান্নানকে আটক করেছে পুলিশ।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আটক মান্নান সময়ে সময়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ঘটনার দিন বিকেল থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মা-বাবাসহ বাড়ির লোকদের ওপর চড়াও হন। তার আচরণে ভীত হয়ে বাড়ি ছেড়ে পাশের গ্রামে চলে যান স্বজনরা। রাতে তিনি সবাইকে বাড়িতে ডেকে আনেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে দাদির শোবার ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে ধরে উঠানে নিয়ে উপর্যুপরি হাতুড়িপেটা করেন। এ সময় তাঁকে প্লায়ার ও কুর্নি দিয়েও দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।

 

আব্দুল মান্নানের বাবা ও নিহতের ছেলে ফজলুর রহমান বলেন, দিনের বেলায় ছেলের অস্বাভাবিক আচরণে তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পাশের গ্রামে চলে যান। পরে রাতে ছেলে তাঁদের ডেকে আনে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী ছেলের ভয়ে বাড়িতে না ঘুমিয়ে রাস্তায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন। মায়ের চিৎকারে বাড়িতে গিয়ে তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাঁদের মারতে তাড়া করে। পরে ভয়ে তাঁরা দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে গ্রামবাসীকে খবর দেন।

 

তিনি আরো জানান, মাকে হত্যা করে তাঁর বুকের ওপর বসে ছিল মান্নান। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলে মাঝে মাঝে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তখন সে সবাইকে মারতে উদ্যত হয়। তবে দুই-এক দিন পরে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। এর আগেও একবার সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিল।

হরিণাকুণ্ডু থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আসামিকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।