চুয়াডাঙ্গা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে কৃষক হক আলী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুর ১২ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নাজিমুদ্দৌলা এ রায় দেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হল, হরিনাকুন্ডু উপজেলার কালাপাড়িয়া আবাসনের বাসিন্দা এলেম মন্ডলের ছেলে আসাদুল হক, মান্দিয়া গ্রামের দরাপ আলীর ছেলে খাকচার আলী ও তার ছেলে আনিচুর রহমান। রায় ঘোষণার পর তাদের তিন জনকেই জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

রায়ের বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ জুলাই বিকালে মোবাইল ফোনে কৃষক হক আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কালাপাড়িয়া আবাসনের বাসিন্দা আসাদুল হক। এরপর হক আলী আর বাড়ি ফিরে না আসলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরে ৯ জুলাই সকালে মান্দিয়া গ্রামের কলাবাগানের ভিতর থেকে মাটি চাপা থাকা হক আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই দুপুরে নিহতের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় আসাদুল হক ও তোয়াজ উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

 

পরবর্তীতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে  ২০১৫ সালের ১ মার্চ  ৪ জনকে আসামি করে আদালতে সেই মামলার চুড়ান্ত চার্জশিট দাখিলে করা হয়। দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসাদুল হক, খাকচার আলী ও তার ছেলে আনিচুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে তাদেরকে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

মামলার অপর আসামী তোয়াজ উদ্দিন বিচারচলাকালীন ২০১৯ সালের ১০ মার্চ মৃত্যু বরণ করেন।

গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

avashnews

Powered by WooCommerce

ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেটঃ ০৪:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে কৃষক হক আলী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুর ১২ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নাজিমুদ্দৌলা এ রায় দেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হল, হরিনাকুন্ডু উপজেলার কালাপাড়িয়া আবাসনের বাসিন্দা এলেম মন্ডলের ছেলে আসাদুল হক, মান্দিয়া গ্রামের দরাপ আলীর ছেলে খাকচার আলী ও তার ছেলে আনিচুর রহমান। রায় ঘোষণার পর তাদের তিন জনকেই জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

রায়ের বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ জুলাই বিকালে মোবাইল ফোনে কৃষক হক আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কালাপাড়িয়া আবাসনের বাসিন্দা আসাদুল হক। এরপর হক আলী আর বাড়ি ফিরে না আসলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরে ৯ জুলাই সকালে মান্দিয়া গ্রামের কলাবাগানের ভিতর থেকে মাটি চাপা থাকা হক আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই দুপুরে নিহতের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় আসাদুল হক ও তোয়াজ উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

 

পরবর্তীতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে  ২০১৫ সালের ১ মার্চ  ৪ জনকে আসামি করে আদালতে সেই মামলার চুড়ান্ত চার্জশিট দাখিলে করা হয়। দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসাদুল হক, খাকচার আলী ও তার ছেলে আনিচুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে তাদেরকে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

মামলার অপর আসামী তোয়াজ উদ্দিন বিচারচলাকালীন ২০১৯ সালের ১০ মার্চ মৃত্যু বরণ করেন।