চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আলী আজগর টগরের সমর্থকরা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক ভোট প্রদান, পোলিং এজেন্টদের মারধর, বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রশাসনের অসহযোগীতার অভিযোগে তুলে সংবাদ সম্মেলন করে পুনঃ নির্বাচনের দাবী করেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হাশেম রেজা।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাত ৯ টায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আবু হাশেম রেজা তার নিজ গ্রাম দামুড়হুদার কুড়ালগাছি নির্বাচনি অফিসে এই সংবাদ সন্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাডঃ আবু তালেব, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও নতিপোতা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, নাটুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল ইসলাম, নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমিন মাষ্টার প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দৈনিক আমার সংবাদ ও ডেইলি পোস্ট’র প্রকাশক সম্পাদক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটি সদস্য ট্রাক প্রতীক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবু হাশেম রেজা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি সংসদীয় আসন (৮০) (চুয়াডাঙ্গা-২) থেকে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসাবে (ট্রাক প্রতীক নিয়ে) নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। আমার পক্ষে সাধারণ ভোটারদের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস ও সমর্থন দেখে চুয়াডাঙ্গা-২ আসেন বর্তমান সংসদ সদস্য নীলনকশা বাস্তবায়ন করেন।
তিনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকে আমার পক্ষের সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে হুমকী ধামকী দেন। কর্মীদের বাড়ির খরের গাদায় আগুন। ক্রস ফায়ারের আসামী ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার পথসভায় হামলা চালায়। প্রকাশ্যে আগ্নেয় অস্ত্র প্রদর্শন সহ বিভিন্ন ভাবে আমার কর্মী সমর্থকদের বাঁধা প্রদান করে আসছে। শুধু তাইনা নৌকার প্রার্থী তার নিজের পক্ষে নির্বাচনের ফলাফল আনতে জঘন্যতম সকল নোংরা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে নিজের অনুকূল আনেন এবং চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মানুষের স্বপ্নের ভোটকে কবর দিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেন।
ভোটের দিন (৭ জানুয়ারি) জোর করে ভোট কেন্দ্র দখল। জাল ভোট প্রদান সহ নানান অনিয়মের মাধ্যমে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলার স্থানীয় সংবাদপত্র সহ বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করে নৌকার পক্ষে ভোট চলছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। নৌকার পক্ষে জাল ভোট প্রদানের জন্য কয়েক জনের বিরুদ্ধে প্রশাসন কয়েক জনকে জেল জরিমানা করে। ছাপ্পা ও জাল ভোটের মাধ্যমে নৌকার নির্লজ্জ বিজয় আমার চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জনগণ প্রত্যাক্ষাণ করেছে। তাই পূণরায় নির্বাচনের দাবী জানিয়ে মাঠে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি গ্রহনযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ঘোষণা দেন। দলমত নির্বিশেষে সকলকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেয়ার ঘোষণা দিলে আমরা গনতন্ত্রে বিশ্বাসী নাগরিক হয়ে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিই। এলাকার হাজার হাজার মানুষের সমর্থনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে ঝাপিয়ে পরি।
আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির একজন সদস্য। আমি মুজিব আদর্শের সৈনিক। কিন্তু আমার চোখের সামনে গনতন্ত্রকে হত্যা করেছে। জনগনের ভোটকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে আমারই এক জ্ঞাতী ভাই নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করে ঘরে ফিরলেন। আমি আশাহত ভোটার ও জনগনের পক্ষে আছি, থাকবো আজীন। তাই আমার চুয়াডাঙ্গা-২ আসবের মানুষের দাবীকে সমর্থন করে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে পুনঃ নির্বাচনের দাবী করছি ।
এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন গ্রহনের আবেদন করে মহামান্য আদালতে রিট দাখিল করবেন বলেও সংবাদ সন্মেলনে জানান হাশেম রেজা।
নির্বচানের পর নৌকার প্রার্থী টগরের সন্ত্রাসীরা আমার পক্ষে নির্বাচন করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদে ঘর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করছে। মারধোর করে আহত করে অনেককে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।