চুয়াডাঙ্গা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবননগরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিলো মাদক ব্যবসায়ীর রাজন, থানায় জিডি

চুয়াডাঙ্গা জীবননগররে সাংবাদিক জামাল হোসেনেকে হত্যার হুমকি দিলো মাদক সম্রাট ও বিজিবি পুলিশের কথিত সোর্স রাজন। সম্প্রতি মাদক সম্রাট রাজনের মাদক ব্যবসার নেটওয়ার্ক নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাজন সাংবাদিক জামাল হোসেনের উপর চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার হুমকি দেয়।

 

এ ঘটনায় জীবননগর থানায় জিডি করতে গেলে মাদক ব্যবসায়ী রাজনের বিরুদ্ধে জিডি নিতে জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল হোসাইন ও শাহপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই মনিরুল আপত্তি তোলে। এসময় তারা সাংবাদিক সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যও করেন। তবে এক পর্যায়ে জিডি নিতে বাধ্য হয়। যা জীবননগর থানার জিডি নং- ৪৯৫ তারিখ : ১১/৭/২৪।

 

জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মাধবখালী গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আব্বাস উদ্দিনের ছেলে রাজন (৩৫) এলাকায় একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও বিজিবি পুলিশের কথিত সোর্স / সহযোগী হিসেবে পরিচিত। সে তার মাদক ব্যবসাকে বৈধতা দিতে কিম্বা এলাকাবাসীকে বোকা বানাতে তার বাড়ির সাথে অতি সম্প্রতি মুদিখানা ও মোবাইল বিকাশ এর দোকান দিলেও অন্তরালে এলাকায় চুটিয়ে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে।

 

রাজনের মাদক ব্যবসা নিয়ে গত ৪ই জুলাই ঢাকা থেকে প্রকাশিত “দৈনিক জনবাণী “ এবং চুয়াডঙ্গা থেকে প্রকাশিত “আজকের খাস খবর” পত্রিকায় গত ৭ই জুলাই একটি অনুসন্ধানী মুলক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের পর মাদক ব্যবসায়ী রাজন ভীষণ ভাবে সাংবাদিকরের উপর খিপ্ত হয় এবং সাংবাদিকদের কে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে রাজন সাংবাদিক জামাল হোসেন খোকনকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। রাজন এলাকায় এক আতংকের নাম হওয়ায় এবং তার সাথে বিজিবি পুলিশের সখ্যতা থাকায় তার সব অপকর্ম ওপেন সিক্রেট হলেও তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননা বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। রাজন একজন প্রান্তিক কৃষকের ছেলে হলেও হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।

 

এদিকে রাজনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সাংবাদিক জামাল হোসেন থানায় জিডি করতে গেলে। থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল হোসাইন ও শাহপুর পুলিশ ফাড়ির এসআই মনিরুল ইসলাম জিডি নিতে গড়িমশি করে এবং সাংবাদিকদের সাথে অত্যান্ত বাজে আচারণ করেন। এঘটনায় জীবননগরের সাংবাদিক সমাজসহ সচেতন নাগরিক সমাজের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এব্যপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবীদ হাসান সাংবাদিক জামাল হোসেনকে মুঠো ফোনে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তিনি থানায় গিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

দর্শনায় যৌথ বাহীনির অভিযানে ৬ যুবক আটক

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

জীবননগরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিলো মাদক ব্যবসায়ীর রাজন, থানায় জিডি

প্রকাশ : ০৪:২৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জীবননগররে সাংবাদিক জামাল হোসেনেকে হত্যার হুমকি দিলো মাদক সম্রাট ও বিজিবি পুলিশের কথিত সোর্স রাজন। সম্প্রতি মাদক সম্রাট রাজনের মাদক ব্যবসার নেটওয়ার্ক নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাজন সাংবাদিক জামাল হোসেনের উপর চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার হুমকি দেয়।

 

এ ঘটনায় জীবননগর থানায় জিডি করতে গেলে মাদক ব্যবসায়ী রাজনের বিরুদ্ধে জিডি নিতে জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল হোসাইন ও শাহপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই মনিরুল আপত্তি তোলে। এসময় তারা সাংবাদিক সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যও করেন। তবে এক পর্যায়ে জিডি নিতে বাধ্য হয়। যা জীবননগর থানার জিডি নং- ৪৯৫ তারিখ : ১১/৭/২৪।

 

জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মাধবখালী গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আব্বাস উদ্দিনের ছেলে রাজন (৩৫) এলাকায় একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও বিজিবি পুলিশের কথিত সোর্স / সহযোগী হিসেবে পরিচিত। সে তার মাদক ব্যবসাকে বৈধতা দিতে কিম্বা এলাকাবাসীকে বোকা বানাতে তার বাড়ির সাথে অতি সম্প্রতি মুদিখানা ও মোবাইল বিকাশ এর দোকান দিলেও অন্তরালে এলাকায় চুটিয়ে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে।

 

রাজনের মাদক ব্যবসা নিয়ে গত ৪ই জুলাই ঢাকা থেকে প্রকাশিত “দৈনিক জনবাণী “ এবং চুয়াডঙ্গা থেকে প্রকাশিত “আজকের খাস খবর” পত্রিকায় গত ৭ই জুলাই একটি অনুসন্ধানী মুলক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের পর মাদক ব্যবসায়ী রাজন ভীষণ ভাবে সাংবাদিকরের উপর খিপ্ত হয় এবং সাংবাদিকদের কে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে রাজন সাংবাদিক জামাল হোসেন খোকনকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। রাজন এলাকায় এক আতংকের নাম হওয়ায় এবং তার সাথে বিজিবি পুলিশের সখ্যতা থাকায় তার সব অপকর্ম ওপেন সিক্রেট হলেও তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননা বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। রাজন একজন প্রান্তিক কৃষকের ছেলে হলেও হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।

 

এদিকে রাজনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সাংবাদিক জামাল হোসেন থানায় জিডি করতে গেলে। থানার ওসি (তদন্ত) একরামুল হোসাইন ও শাহপুর পুলিশ ফাড়ির এসআই মনিরুল ইসলাম জিডি নিতে গড়িমশি করে এবং সাংবাদিকদের সাথে অত্যান্ত বাজে আচারণ করেন। এঘটনায় জীবননগরের সাংবাদিক সমাজসহ সচেতন নাগরিক সমাজের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এব্যপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবীদ হাসান সাংবাদিক জামাল হোসেনকে মুঠো ফোনে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তিনি থানায় গিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।