চুয়াডাঙ্গা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে গিজার বিস্ফোরণ ঠেকাতে যা করবেন

বাসাবাড়িতে শীতের সময় সবচেয়ে বেশি যে গ্যাজেটটি কাজে লাগে সেটি হচ্ছে গিজার। গোসলের জন্য কিংবা খাওয়ার পানি গরম করার ঝামেলা থেকে রেহাই মেলে একটি গিজার থাকলে। তবে গিজার ব্যবহারে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

ব্যবহারের সময় গিজারে সমস্যা হলে ঝামেলায় পড়তে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে এটি মেরামতেরও প্রয়োজন হতে পারে। তাই কিছু মৌলিক পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাতে কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে শীতের আগেই গিজার প্রস্তুত রাখা যায়। না হলে বিস্ফোণের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

 

শীতকালে গিজারের ব্যবহার এবং চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গিজার থেকে ঘটা দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। গিজার ফেটে যাওয়া বা গিজারে আগুন ধরে যাওয়ার ফলে ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবরও শোনা যায়। তবে প্রথমেই জেনে রাখা ভালো এই দুর্ঘটনা কেন ঘটে এবং কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন গিজারের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা এবং চাপ বৃদ্ধি পায়, তখন এটি ফেটে যেতে পারে। এটি তখনই ঘটতে পারে, যদি আপনি এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য গিজারের সুইচ অন করে রেখে দেন। এতে গিজারের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়তে থাকে বা থার্মোস্ট্যাট সিস্টেমটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

 

বিস্ফোরণ ঠেকাতে সবচেয়ে ভালো কাজ হলো যখন কাজ না করেন তখন গিজারটি বন্ধ রাখুন। বিস্ফোরণ থেকে আপনার গিজার রক্ষা করার দ্বিতীয় সর্বোত্তম উপায় হলো তাপমাত্রা কম রাখা। যদি সম্ভব হয় তবে আপনার গিজার তাপমাত্রা ৫৫ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখুন। গিজারের তাপমাত্রা বেশি না হলে বিস্ফোরণের ঝুঁকিও কমে যাবে এবং দীর্ঘদিন নিরাপদে গিজার ব্যবহার করতে পারবেন। সংগৃহীত ছবি।

 

গিজার বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা করতে গরম পাইপগুলো অন্তরক করুন। এতে তাপের ক্ষতি হবে না এবং গিজার কম তাপমাত্রায়ও পানি ভালোভাবে গরম করবে। কৌশলটি গিজার বিস্ফোরণ রোধ করবে এবং আপনাকে বেশি বিদ্যুৎ ব্যয় হবে না।

 

বিস্ফোরণ থেকে গিজার রক্ষা করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ক্রমাগত ভালভ পরীক্ষা করা। প্রতিটি গিজারে একটি ভাল্ব থাকে, যা গিজারের চাপ মুক্ত করে। আপনি ক্রমাগত এই ভাল্বটি পরীক্ষা করা উচিত, কারণ গিজারে চাপ তখনই বৃদ্ধি পায় যখন এই ভালভে কোনো ত্রুটি থাকে। যদি কোনো সমস্যা দেখতে পান, এই ভাল্বটা বদলান।

 

গিজার গ্যাস লিকও খুব বিপজ্জনক হতে পারে। আপনার যদি গ্যাস গিজার থাকে তবে সময়ে সময়ে এটি পরীক্ষা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার বাথরুমে পচা ডিমের মতো গন্ধ পান তবে গ্যাসের আধার ফুটো হয়েছে বুঝতে হবে। এই গন্ধ আসার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করুন এবং যদি সম্ভব হয় তবে আপনার বাড়িটি খালি করুন এবং এটি দ্রুত সার্ভিসিং করান।

সুত্র জাগোনিউজ২৪

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

শীতে গিজার বিস্ফোরণ ঠেকাতে যা করবেন

আপডেটঃ ১১:৪৬:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বাসাবাড়িতে শীতের সময় সবচেয়ে বেশি যে গ্যাজেটটি কাজে লাগে সেটি হচ্ছে গিজার। গোসলের জন্য কিংবা খাওয়ার পানি গরম করার ঝামেলা থেকে রেহাই মেলে একটি গিজার থাকলে। তবে গিজার ব্যবহারে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

ব্যবহারের সময় গিজারে সমস্যা হলে ঝামেলায় পড়তে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে এটি মেরামতেরও প্রয়োজন হতে পারে। তাই কিছু মৌলিক পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাতে কোনো ত্রুটি ধরা পড়লে শীতের আগেই গিজার প্রস্তুত রাখা যায়। না হলে বিস্ফোণের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

 

শীতকালে গিজারের ব্যবহার এবং চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গিজার থেকে ঘটা দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। গিজার ফেটে যাওয়া বা গিজারে আগুন ধরে যাওয়ার ফলে ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবরও শোনা যায়। তবে প্রথমেই জেনে রাখা ভালো এই দুর্ঘটনা কেন ঘটে এবং কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন গিজারের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা এবং চাপ বৃদ্ধি পায়, তখন এটি ফেটে যেতে পারে। এটি তখনই ঘটতে পারে, যদি আপনি এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য গিজারের সুইচ অন করে রেখে দেন। এতে গিজারের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়তে থাকে বা থার্মোস্ট্যাট সিস্টেমটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

 

বিস্ফোরণ ঠেকাতে সবচেয়ে ভালো কাজ হলো যখন কাজ না করেন তখন গিজারটি বন্ধ রাখুন। বিস্ফোরণ থেকে আপনার গিজার রক্ষা করার দ্বিতীয় সর্বোত্তম উপায় হলো তাপমাত্রা কম রাখা। যদি সম্ভব হয় তবে আপনার গিজার তাপমাত্রা ৫৫ থেকে ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখুন। গিজারের তাপমাত্রা বেশি না হলে বিস্ফোরণের ঝুঁকিও কমে যাবে এবং দীর্ঘদিন নিরাপদে গিজার ব্যবহার করতে পারবেন। সংগৃহীত ছবি।

 

গিজার বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা করতে গরম পাইপগুলো অন্তরক করুন। এতে তাপের ক্ষতি হবে না এবং গিজার কম তাপমাত্রায়ও পানি ভালোভাবে গরম করবে। কৌশলটি গিজার বিস্ফোরণ রোধ করবে এবং আপনাকে বেশি বিদ্যুৎ ব্যয় হবে না।

 

বিস্ফোরণ থেকে গিজার রক্ষা করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ক্রমাগত ভালভ পরীক্ষা করা। প্রতিটি গিজারে একটি ভাল্ব থাকে, যা গিজারের চাপ মুক্ত করে। আপনি ক্রমাগত এই ভাল্বটি পরীক্ষা করা উচিত, কারণ গিজারে চাপ তখনই বৃদ্ধি পায় যখন এই ভালভে কোনো ত্রুটি থাকে। যদি কোনো সমস্যা দেখতে পান, এই ভাল্বটা বদলান।

 

গিজার গ্যাস লিকও খুব বিপজ্জনক হতে পারে। আপনার যদি গ্যাস গিজার থাকে তবে সময়ে সময়ে এটি পরীক্ষা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার বাথরুমে পচা ডিমের মতো গন্ধ পান তবে গ্যাসের আধার ফুটো হয়েছে বুঝতে হবে। এই গন্ধ আসার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করুন এবং যদি সম্ভব হয় তবে আপনার বাড়িটি খালি করুন এবং এটি দ্রুত সার্ভিসিং করান।

সুত্র জাগোনিউজ২৪