চুয়াডাঙ্গা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় ইএসকেএলের সঙ্গে ই-পাসপোর্ট ও ভিসা পরিষেবার চুক্তি বাতিল


মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট ও ভিসা পরিষেবায় নিয়োজিত আউটসোর্সিং কোম্পানি এক্সপ্যাট সার্ভিসেস কুয়ালালামপুরের (ইএসকেএল) সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে সরকার। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস ওই কোম্পানিকে তিন মাসের নোটিশে চুক্তি বাতিলের কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত চিঠিটি ইস্যু করেন। এর আগে ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইএসকেএলের সঙ্গে প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট ও ভিসা পরিষেবার জন্য চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ মিশন। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাভেল পাস, ই-পাসপোর্ট, এনআইডি বা এ ধরনের স্পর্শকাতর কোনো বিষয়ে সেবাদানের পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না ইএসকেএলের। তা সত্ত্বেও কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি করেছিল তৎকালীন সরকার। সম্প্রতি প্রবাসীরা পাসপোর্ট আবেদন করতে গেলে ইএসকেএল এর মালয় নিরাপত্তা প্রহরীরা বাংলাদেশীদেরকে মারধর করেন। সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের কে লাঞ্ছিত ও প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করেন দায়িত্বরত সিকিউরিটিরা। বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হলে নোটিশ দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে দূতাবাস।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ওই সময়কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ভিডিও কলের মাধ্যমে এই কোম্পানির সঙ্গে দূতাবাসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা ই-পাসপোর্ট ও ভিসাসহ সংশ্লিষ্ট সেবাগুলো নিতে গিয়ে ব্যাপক ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন। ইএসকেএল এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও ভোগান্তির পর মাত্র এক বছর আড়াই মাসের মাথায় ইএসকেএলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চুক্তির ধারা ৮(বি)-এর অধীনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রমকে সুশৃঙ্খল করতে সাহায্য করবে।

এই চিঠিকেই তিন মাসের নোটিশে চুক্তি অবসানের চূড়ান্ত বার্তা হিসেবে গ্রহণ করতে বলেছে হাইকমিশন। এই সময়ের মধ্যে নির্বিঘ্নে সব প্রক্রিয়া শেষ করে সবকিছু বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। চিঠির কপি পাঠানো হয়েছে ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ

 





সুত্র লিংক

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

মালয়েশিয়ায় ইএসকেএলের সঙ্গে ই-পাসপোর্ট ও ভিসা পরিষেবার চুক্তি বাতিল

আপডেটঃ ১২:৫২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪


মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট ও ভিসা পরিষেবায় নিয়োজিত আউটসোর্সিং কোম্পানি এক্সপ্যাট সার্ভিসেস কুয়ালালামপুরের (ইএসকেএল) সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে সরকার। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস ওই কোম্পানিকে তিন মাসের নোটিশে চুক্তি বাতিলের কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত চিঠিটি ইস্যু করেন। এর আগে ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইএসকেএলের সঙ্গে প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট ও ভিসা পরিষেবার জন্য চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ মিশন। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাভেল পাস, ই-পাসপোর্ট, এনআইডি বা এ ধরনের স্পর্শকাতর কোনো বিষয়ে সেবাদানের পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না ইএসকেএলের। তা সত্ত্বেও কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি করেছিল তৎকালীন সরকার। সম্প্রতি প্রবাসীরা পাসপোর্ট আবেদন করতে গেলে ইএসকেএল এর মালয় নিরাপত্তা প্রহরীরা বাংলাদেশীদেরকে মারধর করেন। সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের কে লাঞ্ছিত ও প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করেন দায়িত্বরত সিকিউরিটিরা। বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হলে নোটিশ দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে দূতাবাস।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ওই সময়কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ভিডিও কলের মাধ্যমে এই কোম্পানির সঙ্গে দূতাবাসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা ই-পাসপোর্ট ও ভিসাসহ সংশ্লিষ্ট সেবাগুলো নিতে গিয়ে ব্যাপক ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন। ইএসকেএল এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও ভোগান্তির পর মাত্র এক বছর আড়াই মাসের মাথায় ইএসকেএলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চুক্তির ধারা ৮(বি)-এর অধীনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রমকে সুশৃঙ্খল করতে সাহায্য করবে।

এই চিঠিকেই তিন মাসের নোটিশে চুক্তি অবসানের চূড়ান্ত বার্তা হিসেবে গ্রহণ করতে বলেছে হাইকমিশন। এই সময়ের মধ্যে নির্বিঘ্নে সব প্রক্রিয়া শেষ করে সবকিছু বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। চিঠির কপি পাঠানো হয়েছে ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।

 

বার্তাবাজার/এসএইচ

 





সুত্র লিংক