চুয়াডাঙ্গা ০৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন রাশিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে ‘তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ’ হতে পারে


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালাতে কিইভকে ওয়াশিংটনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে ইউক্রেইনের যুদ্ধ আরও তীব্র হবে আর তা তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন একজন জ্যেষ্ঠ রুশ আইনপ্রণেতা।
আজ সোমবার রুশ আইনপ্রণেতা মারিয়া বুটিনা সতর্ক করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন যদি রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায় তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে।”
রয়টার্সকে তিনি বলেন, “এই ব্যক্তিরা (বাইডেন প্রশাসন) তাদের ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে যুদ্ধকে আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমি প্রত্যাশা করি, বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত থেকে ট্রাম্প সড়ে আসবেন।”
রোববার তিনটি মার্কিন সূত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীরে মার্কিন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসও জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রেমলিন এখনও এসব প্রতিবেদনের উপর কোনো মন্তব্য করেনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ধরনের পদক্ষেপের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোকে আগেই সতর্ক করেছেন। পুতিন গত ১২ সেপ্টেম্বর বলেছিলেন, “রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অর্থ হবে ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো সামরিক জোটের সরাসরি জড়িয়ে পড়া।”
অক্টোবরের শেষের দিকে পুতিন বলেছিলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্ররা যদি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানতে সহায়তা করে তাহলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিক্রিয়া জানাতে বিভিন্ন উপায়ে কাজ করছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাত্র দুই মাস আগে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ক্ষমতার গ্রহণের পর ট্রাম্প বাইডেনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনকে যে পরিমাণে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছিল, ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে সেটার সমালোচনা করে আসছিলেন। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তা কীভাবে করবেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।



সুত্র লিংক

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

ইউক্রেন রাশিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে ‘তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ’ হতে পারে

আপডেটঃ ০৩:১৫:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালাতে কিইভকে ওয়াশিংটনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে ইউক্রেইনের যুদ্ধ আরও তীব্র হবে আর তা তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন একজন জ্যেষ্ঠ রুশ আইনপ্রণেতা।
আজ সোমবার রুশ আইনপ্রণেতা মারিয়া বুটিনা সতর্ক করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন যদি রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায় তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে।”
রয়টার্সকে তিনি বলেন, “এই ব্যক্তিরা (বাইডেন প্রশাসন) তাদের ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে যুদ্ধকে আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমি প্রত্যাশা করি, বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত থেকে ট্রাম্প সড়ে আসবেন।”
রোববার তিনটি মার্কিন সূত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীরে মার্কিন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসও জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্রেমলিন এখনও এসব প্রতিবেদনের উপর কোনো মন্তব্য করেনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ধরনের পদক্ষেপের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোকে আগেই সতর্ক করেছেন। পুতিন গত ১২ সেপ্টেম্বর বলেছিলেন, “রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অর্থ হবে ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো সামরিক জোটের সরাসরি জড়িয়ে পড়া।”
অক্টোবরের শেষের দিকে পুতিন বলেছিলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্ররা যদি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানতে সহায়তা করে তাহলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিক্রিয়া জানাতে বিভিন্ন উপায়ে কাজ করছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাত্র দুই মাস আগে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ক্ষমতার গ্রহণের পর ট্রাম্প বাইডেনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনকে যে পরিমাণে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছিল, ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে সেটার সমালোচনা করে আসছিলেন। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তা কীভাবে করবেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।



সুত্র লিংক