হঠাৎ শত কোটি টাকা পাওয়ার বিড়ম্বনায় পড়েছেন এক দিনমজুর। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এখন একশ কোটি ভারতীয় টাকা। অথচ এই টাকা ফেরত দিতে আইনি দৌড়ঝাঁপের যে খরচ তা জোগাড় করতে রীতিমতো চিন্তা করতে হচ্ছে তাকে।
পেশায় ক্ষেতমজুর ওই ব্যক্তির নাম নাসিরুল্লা। তিনি বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে মুর্শিদাবাদের দেগঙ্গার চৌরাশি পঞ্চায়েত এলাকায় থাকেন। কয়েক দিন আগে তার বাড়িতে আসেন দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার। তারা একটি চিঠি দিয়ে যান। ইংরাজিতে লেখা সেই চিঠি নিয়ে যান প্রতিবেশী এক যুবকের কাছে।
তিনি জানান, নাসিরুল্লার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি টাকা ঢুকেছে। তাই জঙ্গিপুর সাইবার ক্রাইম থানা তাকে ডেকে পাঠিয়েছে। মোবাইল ফোনে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স পরীক্ষা করে তিনি দেখেন, ১০০ কোটি নয়, তার থেকে ১ পয়সা কম রয়েছে অ্যাকাউন্টে।
নাসিরুল্লা থানায় গিয়ে জানিয়ে এসেছেন, টাকা তার নয়। কিন্তু পুলিশ বলছে, কেস মেটাতে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে যেতে হবে। কিন্তু সেই খরচ জোগানো নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
নাসিরুল্লার দাবি, টাকা তার নয় সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন। টাকা ফিরিয়ে নিতেও বলেছেন। কীভাবে টাকা এসেছে তা ঘুণাক্ষরে তিনি জানেন না। তাহলে কাজকর্ম ফেলে পকেটের টাকা খরচ করে তিনি কেন জঙ্গিপুরে ছুটতে যাবেন?
নাসিরুল্লার ভাই মোস্তাকিন বলেন, আমার ভাই জীবনে ৫০ হাজার টাকা একসঙ্গে দেখেনি। তার অ্যাকাউন্টে না কি ১০০ কোটি টাকা! এ তো রীতিমতো ঘুম হারাম করার দশা। নিশ্চয় কোথাও কোনো ভুল হয়েছে। পুলিশের আমাদের সহযোগিতা করা উচিত।
খবর- হিন্দুস্তান টাইমস।