মেহেরপুর সদরে আবাসিক হোটেল থেকে আব্দুর রহমান (৩৮) নামে এক ইজিবাইক চালকের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১১ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের এজাজ প্লাজা আবাসিক হোটেলের এক কক্ষে মরদেহটি পাওয়া যায়।
আব্দুর রহমান মেহেরপুর সদর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তি শোলমারী গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। সে পেশায় একজন বিদ্যুৎচালিত ইজিবাইক চালক।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় শহরের আবাসিক হোটেল “এজাজ প্লাজা’র চতুর্থ তলার ৪০২ নং কক্ষ থেকে তার গলা কাটা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দূর্বৃত্তরা তাকে হাত পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেছে।
নিহত আব্দুর রহমানের ভাগ্নে আনোয়ার হোসেন তার লাশ সনাক্ত করেন।
নিহতের স্ত্রী রেহানা খাতুন বলেন, গত শুক্রবার রাতে ভাত খেতে বসেছিল। এসময় তাকে কে বা কারা ফোনে ডাক দেই। সে ভাত রেখে তাদের সাথে চলে আসে। তারপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। আমরা তাকে খুজতে বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করি। আজকে বিভিন্ন মারফতে আমরা জানতে পারি হোটেল এজাজে একটি লাশ আছে। আমরা এসেই মরদেহ দেখেছি।
গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, হোটেল এজাজের ৪০২ নং কক্ষ থেকে অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেনো কি কারনে এই হত্যাকান্ড এখনি বলা সম্ভব নয়। তবে হোটেল এজাজ প্লাজার মালিক ঝন্টু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাথমিকভাবে থানায় নেওয়া হয়েছে।
মেহেরপুরের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় হোটেল মালিক ঝন্টু মিয়াকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।