চুয়াডাঙ্গা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে সরিষার বীজ বিতরণে চাষীদের ক্ষোভ

মেহেরপুরে সরিষার বীজ বিতরণ নিয়ে চাষিদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গনে বীজ বিতরনের সময় চাষিরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। চাষিদের অভিযোগ, কার্তিক মাসে সরিষার বারি-১৪ জাতের বীজ বপনের সময় থাকলেও বীজ দেওয়া হচ্ছে অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে। নির্দিষ্ট সময়ে বীজ পেলে ফলন ভালো হতো কিন্তু এখন বীজ দিয়ে ফলন ভালো হবে না। আবাদ করতে খরচ হবে বেশি। এই বীজ এখন হাঁস, মুরগি, পাখিকে খাওয়াতে হবে।

 

 

এদিকে দেরিতে বীজ দেওয়ার কারন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে চায়নি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। প্রতিটি বীজের প্যাকেটের ভিতরে বীজ বপনের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যায় কাগজে বীজ বপনের সময় দেওয়া আছে কার্তিক মাসে অথচ অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে সরকারি ভাবে চাষিদের মাঝে বরাদ্দের বীজ দেওয়া হচ্ছে। এখন এই বীজ নিয়ে কি করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা।

 

বীজের প্যাকেটের ভিতরের নির্দেশিকায় রয়েছে এই বীজে একর প্রতি ৫৫০/৬৫০ কেজি পর্যন্ত ফলন হওয়ার কথা। কিন্তু অসময়ে বপন করলে সেই পরিমাণ ফলন হবে না। সদর উপজেলা কৃষি অফিসে বীজ নিতে আসা একাধিক চাষি জানান, যে চাষি সরিষার চাষ করবে অনেকেই সরিষা লাগিয়ে ফেলেছে। আবার অনেকেই লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। মেহেরপুর সদর উপজেলা রাজনগরের চাষী সেলিম হোসেন বলেন, এই বীজটি যদি কার্তিক মাসে দেওয়া হতো তাহলে সরিষার ফলন ভালো হতো। কিন্তু এখন এই বীজ দিয়ে কি হবে ?

 

জমি প্রস্তুত করে সরিষা বপন করে তা আর ভালো ফলন হবে না। আমাদের খরচ বেশি হয়ে যাবে আবার যে পরিমান ফলন হওয়ার কথা সেই পরিমান ফলন হবে না। এখন এই বীজ পশু, পাখিকে দিয়ে খাওয়াতে হবে। আর এসব অনিয়মের সাথে জড়িত আছে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানসহ কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের গাফলতির কারনে বীজ সময়মতো দেওয়া হয় নি। রাজাপুর গ্রামের নসির উদ্দিন বলেন, চাষিরা অনেক কষ্ট করে লাভের আশায় আবাদ করে। এখন লাভের বদলে যদি লোকশান হয় তাহলে আবাদ না করাই ভালো।

 

 

হরিরামপুর গ্রামের চাষী মফিজুল বলেন, কৃষকদের নিয়ে এর আগেও অনেক দূর্ণিতির অভিযোগ রয়েছে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেগুলোর কিছুই হয় নি। আমরা একাধিকবার প্রতিবাদও করেছি। আমরা কৃষকেরা দাবি জানাচ্ছি যেন, কৃষকদের নিয়ে এসব অনিয়ম বন্ধ করা হোক। এদিকে বীজ বপনের সময়ের প্রায় ১মাস পরে দেরিতে বীজ দেওয়ার কারন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে চান নি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

মেহেরপুরে সরিষার বীজ বিতরণে চাষীদের ক্ষোভ

আপডেটঃ ০২:১১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মেহেরপুরে সরিষার বীজ বিতরণ নিয়ে চাষিদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গনে বীজ বিতরনের সময় চাষিরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। চাষিদের অভিযোগ, কার্তিক মাসে সরিষার বারি-১৪ জাতের বীজ বপনের সময় থাকলেও বীজ দেওয়া হচ্ছে অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে। নির্দিষ্ট সময়ে বীজ পেলে ফলন ভালো হতো কিন্তু এখন বীজ দিয়ে ফলন ভালো হবে না। আবাদ করতে খরচ হবে বেশি। এই বীজ এখন হাঁস, মুরগি, পাখিকে খাওয়াতে হবে।

 

 

এদিকে দেরিতে বীজ দেওয়ার কারন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে চায়নি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। প্রতিটি বীজের প্যাকেটের ভিতরে বীজ বপনের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যায় কাগজে বীজ বপনের সময় দেওয়া আছে কার্তিক মাসে অথচ অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে সরকারি ভাবে চাষিদের মাঝে বরাদ্দের বীজ দেওয়া হচ্ছে। এখন এই বীজ নিয়ে কি করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা।

 

বীজের প্যাকেটের ভিতরের নির্দেশিকায় রয়েছে এই বীজে একর প্রতি ৫৫০/৬৫০ কেজি পর্যন্ত ফলন হওয়ার কথা। কিন্তু অসময়ে বপন করলে সেই পরিমাণ ফলন হবে না। সদর উপজেলা কৃষি অফিসে বীজ নিতে আসা একাধিক চাষি জানান, যে চাষি সরিষার চাষ করবে অনেকেই সরিষা লাগিয়ে ফেলেছে। আবার অনেকেই লাগানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। মেহেরপুর সদর উপজেলা রাজনগরের চাষী সেলিম হোসেন বলেন, এই বীজটি যদি কার্তিক মাসে দেওয়া হতো তাহলে সরিষার ফলন ভালো হতো। কিন্তু এখন এই বীজ দিয়ে কি হবে ?

 

জমি প্রস্তুত করে সরিষা বপন করে তা আর ভালো ফলন হবে না। আমাদের খরচ বেশি হয়ে যাবে আবার যে পরিমান ফলন হওয়ার কথা সেই পরিমান ফলন হবে না। এখন এই বীজ পশু, পাখিকে দিয়ে খাওয়াতে হবে। আর এসব অনিয়মের সাথে জড়িত আছে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানসহ কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের গাফলতির কারনে বীজ সময়মতো দেওয়া হয় নি। রাজাপুর গ্রামের নসির উদ্দিন বলেন, চাষিরা অনেক কষ্ট করে লাভের আশায় আবাদ করে। এখন লাভের বদলে যদি লোকশান হয় তাহলে আবাদ না করাই ভালো।

 

 

হরিরামপুর গ্রামের চাষী মফিজুল বলেন, কৃষকদের নিয়ে এর আগেও অনেক দূর্ণিতির অভিযোগ রয়েছে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেগুলোর কিছুই হয় নি। আমরা একাধিকবার প্রতিবাদও করেছি। আমরা কৃষকেরা দাবি জানাচ্ছি যেন, কৃষকদের নিয়ে এসব অনিয়ম বন্ধ করা হোক। এদিকে বীজ বপনের সময়ের প্রায় ১মাস পরে দেরিতে বীজ দেওয়ার কারন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে চান নি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।