চুয়াডাঙ্গা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁঝ

চুয়াডাঙ্গার 
দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন সপ্তাহিক হাট ও তহ হাজারে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের মাঝে নাভিশ্বাস। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন।

জানাগেছে, পাশ্ববর্তী দেশ ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরই দেশের বাজারে হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দু’দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০থেকে ৮০ টাকা। সোমবার দামুড়হুদা উপজেলা ডুগডুগি হাট, কার্পাসডাঙ্গা বাজার, দর্শনা বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এ বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে দেশী নতুন পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজ।

পেঁয়াজ ক্রেতা ডুগডুগির ইউসুফ আলী, জামাল উদ্দীন, শহিদুল ইসলাম বলেন, দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮০টাকা করে। আমাদের নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বাজার করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়বে। বাজার ও আড়তগুলো নিয়মিত মনিটরিং করে পেঁয়াজের বাজারে নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি।

পেঁয়াজ ক্রেতা কার্পাসডাঙ্গার রুস্তম আলী বলেন, শনিবার পেঁয়াজ কিনেছিলাম ১২০টাকা কেজি আর সোমবার কিনলাম ২০০টাকা কেজি। বাজারে যদি এভাবে পেঁয়াজের ঝাঁঝ থাকে তাহলে বাজারের তালিকা থেকে পেঁয়াজ বাদ দিতে হবে আমাদেরকে।

ডুগডুগি বাজারের খুচরা বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, শনিবারে যে পেঁয়াজ আড়ত থেকে কিনেছিলাম ৭০/৮০টাকা কেজি সেই পেঁয়াজ সোমবার কিনেছি ১৪০/১৪৫টাকা কেজি দরে। যার ফলে তাদের কে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ১৬০/১৮০টাকা কেজি দরে। বেশী দামে কিনতে হচ্ছে বলেই আমরা বেশী দামে বিক্রি করছি। আমরা যদি আড়ত থেকে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারি তাহলে কম দামে বেঁচতে পারবো।

কার্পাসডাঙ্গা বাজারের খুচরা বিক্রেতা সালাউদ্দিন বলেন, আমরা আড়ত থেকে দেশী নতুন পেঁয়াজ কিনছি ১১০টাকা কেজি আর বিক্রি করছি ১২০টাকা কেজি। এছাড়া আড়ত থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১৪৫টাকা কেজি খুচরা বিক্রি করছি ১৬০টাকা কেজি। দাম বেশী হওয়ার কারণে আমাদের বেচা-বিক্রি কমে গেছে।

অন্যান্য খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা বেশী পেঁয়াজ ছাড়ছেই না। অল্প পরিমানে পেঁয়াজ তাদেরকে বিক্রি করছে। এরফলে খুচরা বাজারে তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে বেশী দামে।

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সজল কুমার দাস বলেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজারগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। বাজার মনিটরিং করার সময় দেখা গেছে খুচরা ব্যাবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত মূল্য ১২০টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। সোমবার দুপুরে কার্পাসডাঙ্গা বাজার মনিটরিং করার সময় দু’জন অসাধু ব্যবসায়ীকে বেশী দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে ১হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও আড়তগুলোতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে মূল্য তালিকা প্রদর্শন সহ পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।#######

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

দামুড়হুদার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁঝ

প্রকাশ : ০১:১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার 
দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন সপ্তাহিক হাট ও তহ হাজারে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের মাঝে নাভিশ্বাস। পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন।

জানাগেছে, পাশ্ববর্তী দেশ ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরই দেশের বাজারে হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দু’দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০থেকে ৮০ টাকা। সোমবার দামুড়হুদা উপজেলা ডুগডুগি হাট, কার্পাসডাঙ্গা বাজার, দর্শনা বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এ বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে দেশী নতুন পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজ।

পেঁয়াজ ক্রেতা ডুগডুগির ইউসুফ আলী, জামাল উদ্দীন, শহিদুল ইসলাম বলেন, দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮০টাকা করে। আমাদের নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বাজার করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়বে। বাজার ও আড়তগুলো নিয়মিত মনিটরিং করে পেঁয়াজের বাজারে নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি।

পেঁয়াজ ক্রেতা কার্পাসডাঙ্গার রুস্তম আলী বলেন, শনিবার পেঁয়াজ কিনেছিলাম ১২০টাকা কেজি আর সোমবার কিনলাম ২০০টাকা কেজি। বাজারে যদি এভাবে পেঁয়াজের ঝাঁঝ থাকে তাহলে বাজারের তালিকা থেকে পেঁয়াজ বাদ দিতে হবে আমাদেরকে।

ডুগডুগি বাজারের খুচরা বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, শনিবারে যে পেঁয়াজ আড়ত থেকে কিনেছিলাম ৭০/৮০টাকা কেজি সেই পেঁয়াজ সোমবার কিনেছি ১৪০/১৪৫টাকা কেজি দরে। যার ফলে তাদের কে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ১৬০/১৮০টাকা কেজি দরে। বেশী দামে কিনতে হচ্ছে বলেই আমরা বেশী দামে বিক্রি করছি। আমরা যদি আড়ত থেকে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারি তাহলে কম দামে বেঁচতে পারবো।

কার্পাসডাঙ্গা বাজারের খুচরা বিক্রেতা সালাউদ্দিন বলেন, আমরা আড়ত থেকে দেশী নতুন পেঁয়াজ কিনছি ১১০টাকা কেজি আর বিক্রি করছি ১২০টাকা কেজি। এছাড়া আড়ত থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১৪৫টাকা কেজি খুচরা বিক্রি করছি ১৬০টাকা কেজি। দাম বেশী হওয়ার কারণে আমাদের বেচা-বিক্রি কমে গেছে।

অন্যান্য খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা বেশী পেঁয়াজ ছাড়ছেই না। অল্প পরিমানে পেঁয়াজ তাদেরকে বিক্রি করছে। এরফলে খুচরা বাজারে তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে বেশী দামে।

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সজল কুমার দাস বলেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজারগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। বাজার মনিটরিং করার সময় দেখা গেছে খুচরা ব্যাবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত মূল্য ১২০টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। সোমবার দুপুরে কার্পাসডাঙ্গা বাজার মনিটরিং করার সময় দু’জন অসাধু ব্যবসায়ীকে বেশী দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে ১হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও আড়তগুলোতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে মূল্য তালিকা প্রদর্শন সহ পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।#######