দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে ফেনসিডিল সেবককারীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানাধীন পীরপুরকুল্লা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। পরে পুলিশ ফাঁড়িতে দীর্ঘ সময়ের দেনদরবারের পর পুলিশ ওই মাদক সেবনকারী কে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় জানাগেছে, বুধবার(২৪জুলাই) বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানার অন্তগত কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হারুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পীরপুরকুল্লা যুগীরপাড়ায় অভিযান চালায়। এসময় চুয়াডাঙ্গা সদরের শিমুল নামের এক যুবক সহ ৩জন দুটি মোটরসাইকেল যোগে ফেনসিডিল সেবন করতে আসে। ওই তিন যুবক ফেনসিডিল সেবনের করতে থাকলে বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিমুল নামের একজনকে আটক করে আর বাকী ২জন পালিয়ে যায়। এসময় ২টি মোটরসাইকেল ও হাফ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল ও জব্দ করে পুলিশ। পরে আটককৃত মাদক সেবনকারী ও মোটরসাইকেল দুটি জব্দ করে পুলিশ ফাঁড়িতে নেন। পরে প্রায় ৩ঘন্টা যাবত দেন দরবারের পর মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শিমুল কে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এসআই হারুণ অর রশিদের কাছে মোবাইল করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পীরপুরকুল্লা গ্রামে টহলকালীন সময়ে তিনজন যুবককে ফেনসিডিল সেবন করতে দেখে তাদের ধাওয়া করি। এসময় দুজন পালিয়ে গেলেও শিমুল নামে এক যুবক কে আমরা আটক করি। আটককৃত কে জিজ্ঞেসাবাদ করলে জানতে পারি তারা তিনজনে মিলে একটা ফেনসিডিল সেবন করছিলো। এ সময় তাকে আটক করে হেফাজতে নেয়া হয় ও ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে জানতে পারি সে ছাত্র তাই তাকে থানায় দিয়ে আসা হয়েছে। তবে তারা কার কাছ থেকে ফেনসিডিল কিনে ছিলো সেবিষয়টা তদন্ত চলছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো আলমগীর কবির বলেন, এমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই।