চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার কানাইডাঙ্গায় গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে ধরে ৭জন কে কুপিয়ে ও মারপিট করে জখম করা হয়েছে। রক্তাক্ত জখমকৃতরা দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আজ (৩ আগস্ট) শনিবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গায় গ্রামের কামরুল ইসলাম গংদের সাথে একই গ্রামের গাফফার আলী গংদের জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার সকালে বিবাদপূর্ণ জমিতে ধান লাগানো নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মাঠে এক প্রকারের বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কামরুল ইসলাম গংদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে জখম করে গাফফার আলী গংয়ের লোকজন। ধারালো অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত জখম হয় কলিম উদ্দীনের ছেলে কামরুল ইসলাম(৩৫), মৃত আবু বক্করের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (২৮), মৃত জান মোহাম্মদের ছেলে সিদ্দিক আলী(৫৮), ওমর আলী(৫৫), জালাল বিশ্বাসের ছেলে আঃ মান্নান(৩৫), মৃত মাহাবুব বিশ্বাসের ছেলে আঃলতিফ(৩৪), মৃত আঃহমিদের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫)।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ২য় পক্ষ গাফফার আলী গংদের সাথে কামরুল ইসলাম গংদের দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে পূর্বে কয়েকবার উভয় পক্ষ একে অপরের জমির ফসল নষ্ট করে দেয়। এরই জেরে গতকাল শনিবার সকালে প্রথম পক্ষের লোকজন কৃষি কাজের জন্য মাঠে গেলে ২য় পক্ষের লোকজন অতর্কিত দেশীয় অস্ত্র পাতি নিয়ে হামলা করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ১ম পক্ষের ৭জন মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম ও ২য় পক্ষের ৩জন আহত হয়। উভয় পক্ষের জখমকৃত, আহতদের দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। এসময় ১ম পক্ষের মিজানুর রহমানের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সহ ৪জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে ১ম পক্ষের মিজানুর রহমানের অবস্থার অবনতি ঘটলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা তাকে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।