চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী দর্শনা কেরু চিনিকল। এ চিনিকল ৪টি কমপ্লেক্স নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান লাভ জনক প্রডাক্ট এলকোহল। ডিস্ট্রিলারী মূল কাচা মাল হচ্ছে চিনিকলের মুলাসাস বা চিটাগুড়। ইতিমধ্যে ডিস্ট্রিলারী থেকে চুরি ঠেকাতে নানা মুখি পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন নবাগত এমডি মোঃ রাব্বিক হাসান এফসিএমএ।
দর্শনা কেরু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ বলেন, বর্তমান এমডি কেরু’র ডিষ্টিলারীতে চুরি ঠেকাতে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করেছে। যে সব শ্রমিক কাজ করে ফরেনলিকার ও দেশি মদের কারখাতে তাদের প্রত্যকের তল্লাশি করে বাহির হওয়া ও ঢুকনো হচ্ছে। এবং গেটে ৪ জন নিরাপত্তা প্রহরী রাখা হয়েছে। এসব নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করার ফলে বর্তমানে চুরি শুন্যের কোঠায় চলে এসেছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহন করায় এমডি রাব্বিক হাসান এফসিএমএকে সাধুবাদ জানিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কেরুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত মিলন সহ চুয়াডাঙ্গা জেলার আমজনতা।
দর্শনা কেরু’র ডিস্ট্রিলারী থেকে ফরেনলিকার ও বাংলা মদ চুরি করার যতই চাতুরী ও কৌশল অবলম্বন করেন না কেন নিশ্চিত ধরা খাবেন চোরেরা।
কেরু’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাব্বিক হাসান এফসিএমএ জানান, চোরেরা কেরু ডিস্ট্রিলারী থেকে ফরেনলিকার বা বংলা মদ চুরি করার যতই চেষ্টা করুক না কেন ধরা পরবে নিশ্চিত।
তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন কেরুজ মদ চুরি ঘটনা ঘটে চলেছে। ফলে এবার আমরা শুধু সিসিটিভি ক্যামেরা নয় বেশ কিছু গোপন পদক্ষেপ নিয়েছি। মদ চুরি করতে যত ধরনের কৌশল এবং ছলচাতুরতা অবলম্বন করুক না কেন আমারা ঠিক তাকে ধরে ফেলতে পারবো। এছাড়া তিনি চোরেদের উদ্যেশে সর্তক করে বলেন কোন চুক্তি ভিক্তিক শ্রমিক যদি চুরির সাথে জড়িত থাকে তাকে হাতেনাতে ধরতে পারলে চাকরিচ্যুত করা হবে। এবং স্হায়ী শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা ধরা পড়লে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। তিনি বলে আমি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হলেও আমার গাড়ী ডিস্টিলারি,র ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না।
দীর্ঘদিন ধরে দর্শনা কেরু’র ডিস্ট্রিলারী থেকে ফরেনলিকার ও বাংলা মদ চুরি হয়ে আসছে নানা কৌশলে। ফলে ফরেনলিকার ও বাংলা মদ চুরি বন্ধ করতে বেশ কিছু গোপন পদক্ষেপ নিয়েছেন কেরুজ নবাগত এমডি রাব্বিক হাসান এফসিএমএ।