চুয়াডাঙ্গা ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতপুর হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা

দালালের দৌরাত্বে অতিষ্ট কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিস। ভূমি সংক্রান্ত যে কোন জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমে ভূমি অফিসে ভুক্ত ভোগিদের হতে হয় হয়রানির স্বীকার, হয়রানি দেখে ছুটে আসে দালাল চক্র। এবার মিলবে সেবা, তবে গুনতে হবে কাজ দেখে বিভিন্ন অংকের টাকা।

 

প্রথমেই কাগজপত্র ভুলে ভরা বলে বিদায় করেন। জমির নামজারি করতে গেলে কাগজের জটিলতা দেখিয়ে দলিল প্রতি ভুক্তভোগিদের গুনতে হয় ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার আরেক নাম আতঙ্ক। অফিসের বারান্দায় সেবা গ্রহীতারা গেলেই নানা হয়রানির স্বীকার হতে হয়। জমির খাজনা দিতে গেলেও গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা আবার অনেক সময় টাকা দিয়েও মেলেনা সেবা। আনেকে টাকার চাপে সেবা বঞ্চিত হয়ে ফিরেও যায়।

 

হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের একাধীক ভুক্তভোগিরা জানান, নিজের নামের জমি, নাম খারিজ করতে হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের দারস্থ হলে এ টেবিল-সেটেবিল কাগজ ছুড়াছুড়ি করে। কাগজে নানা রকম ভুলেভরা বলে বিদায় করেন। পরবর্তিতে অফিসের দালালদের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দিয়েই ঐ কাজ করতে হয়েছে।
টাকা দিয়েও কাজ হয়না, আরো বেশি টাকার বায়না থাকায় নামজারির কাগজ মিলছে না তিন সপ্তাহ ধরে।

 

জমি যদি কাগজের মতো হতো, তাহলে ছিড়ে ফেলতাম, নামজারির জন্য তিন মাস এই বারান্দায় সেই বারান্দায় ঘুরছি। উপজেলা ভুমি অফিসে গিয়েও ঘুরতে হয়েছে। সোজা পথে গেলে এই ইউনিয়ন ভুমি অফিসে কাজ হয়না। অনেক চেষ্টা করেও কাজ হয়নি। টাকা দিলেই সহজে কাজ হয়।
জমির খাজনা দিতে হলে তাও গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা। ৫ টাকার খাজনা দিতে হবে ৫শ টাকা, তার চাহিদা এমনই। আমি জমির খাজনা নাদিয়েই চলে যাচ্ছি।

দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এখানে অতিরিক্ত টাকা নেয়া বা সেবা গ্রহীতাদের কোন হয়রানি করা হয়না। এখন সবাইকে অনলাইনে নামজারির আবেদন করতে বলা হয়।

 

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. শাহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারির কি পরিমান টাকা লাগবে, তার নির্দেশনা দেয়া আছে, অতিরিক্ত টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
তবে সেবা দাতাদের কাছে জিম্মি না থেকে স্বচ্ছ সেবা পেতে চাই সেবা গ্রহীতার। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হোউক এটাই প্রত্যাশা করে এই এলাকার ভুক্তভোগিরা।

প্রসংঙ্গ :

বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড (বিএসআরএম) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫

avashnews

Powered by WooCommerce

দৌলতপুর হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা

আপডেটঃ ০১:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

দালালের দৌরাত্বে অতিষ্ট কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিস। ভূমি সংক্রান্ত যে কোন জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমে ভূমি অফিসে ভুক্ত ভোগিদের হতে হয় হয়রানির স্বীকার, হয়রানি দেখে ছুটে আসে দালাল চক্র। এবার মিলবে সেবা, তবে গুনতে হবে কাজ দেখে বিভিন্ন অংকের টাকা।

 

প্রথমেই কাগজপত্র ভুলে ভরা বলে বিদায় করেন। জমির নামজারি করতে গেলে কাগজের জটিলতা দেখিয়ে দলিল প্রতি ভুক্তভোগিদের গুনতে হয় ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার আরেক নাম আতঙ্ক। অফিসের বারান্দায় সেবা গ্রহীতারা গেলেই নানা হয়রানির স্বীকার হতে হয়। জমির খাজনা দিতে গেলেও গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা আবার অনেক সময় টাকা দিয়েও মেলেনা সেবা। আনেকে টাকার চাপে সেবা বঞ্চিত হয়ে ফিরেও যায়।

 

হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের একাধীক ভুক্তভোগিরা জানান, নিজের নামের জমি, নাম খারিজ করতে হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের দারস্থ হলে এ টেবিল-সেটেবিল কাগজ ছুড়াছুড়ি করে। কাগজে নানা রকম ভুলেভরা বলে বিদায় করেন। পরবর্তিতে অফিসের দালালদের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দিয়েই ঐ কাজ করতে হয়েছে।
টাকা দিয়েও কাজ হয়না, আরো বেশি টাকার বায়না থাকায় নামজারির কাগজ মিলছে না তিন সপ্তাহ ধরে।

 

জমি যদি কাগজের মতো হতো, তাহলে ছিড়ে ফেলতাম, নামজারির জন্য তিন মাস এই বারান্দায় সেই বারান্দায় ঘুরছি। উপজেলা ভুমি অফিসে গিয়েও ঘুরতে হয়েছে। সোজা পথে গেলে এই ইউনিয়ন ভুমি অফিসে কাজ হয়না। অনেক চেষ্টা করেও কাজ হয়নি। টাকা দিলেই সহজে কাজ হয়।
জমির খাজনা দিতে হলে তাও গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা। ৫ টাকার খাজনা দিতে হবে ৫শ টাকা, তার চাহিদা এমনই। আমি জমির খাজনা নাদিয়েই চলে যাচ্ছি।

দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এখানে অতিরিক্ত টাকা নেয়া বা সেবা গ্রহীতাদের কোন হয়রানি করা হয়না। এখন সবাইকে অনলাইনে নামজারির আবেদন করতে বলা হয়।

 

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. শাহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারির কি পরিমান টাকা লাগবে, তার নির্দেশনা দেয়া আছে, অতিরিক্ত টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
তবে সেবা দাতাদের কাছে জিম্মি না থেকে স্বচ্ছ সেবা পেতে চাই সেবা গ্রহীতার। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হোউক এটাই প্রত্যাশা করে এই এলাকার ভুক্তভোগিরা।