চুয়াডাঙ্গা ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতপুরে আগুনে পুড়ে দুই বোনের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আগুনে পুড়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

দুখু মিয়ার বসতঘরে তার দুই শিশুকন্যা সোনিয়া (৮) ও শর্মিলা (২) ঘুমিয়ে ছিল। আগুন ঘরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফলে দগ্ধ হয়ে তারা মারা যায়।

 

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। আগুনে দুটি বাড়ি পুড়ে ভস্মীভূত হয় এবং পুড়ে মারা যায় দুই শিশুকন্যা। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

দিঘলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান আলী বলেন, দুখু মিয়া ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। খুব কষ্ট করে মেয়েদের লালন-পালন করছিলেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

সোনিয়া-শর্মিলার বাবা দুখু মিয়া বলেন, ‘আল্লাহ এত বড় শাস্তি দেবেন কোনোদিন ভাবতেও পারিনি। কোন পাপে আমার এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল তা আল্লাহই জানেন।’ তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার দুই মেয়ের লাশ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

 

কুষ্টিয়ার মিরপুর ফায়ার সার্ভিস টিমের সদস্যরা বলেন, দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা দ্রুত সেখানে যান। তখন সামান্য আগুন ছিল, দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে তার আগেই আগুনে কয়েকটি ঘর পুড়ে যায়। দুই শিশুও মারা যায়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। দিঘলকান্দি গ্রামের দুখু মিয়ার স্ত্রী রান্না করার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে দুখু মিয়ার দুই কন্যা সোনিয়া ও শর্মিলা পুড়ে মারা যায়।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

দৌলতপুরে আগুনে পুড়ে দুই বোনের মৃত্যু

আপডেটঃ ০৭:৪২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আগুনে পুড়ে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

দুখু মিয়ার বসতঘরে তার দুই শিশুকন্যা সোনিয়া (৮) ও শর্মিলা (২) ঘুমিয়ে ছিল। আগুন ঘরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফলে দগ্ধ হয়ে তারা মারা যায়।

 

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। আগুনে দুটি বাড়ি পুড়ে ভস্মীভূত হয় এবং পুড়ে মারা যায় দুই শিশুকন্যা। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

দিঘলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান আলী বলেন, দুখু মিয়া ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। খুব কষ্ট করে মেয়েদের লালন-পালন করছিলেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

সোনিয়া-শর্মিলার বাবা দুখু মিয়া বলেন, ‘আল্লাহ এত বড় শাস্তি দেবেন কোনোদিন ভাবতেও পারিনি। কোন পাপে আমার এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল তা আল্লাহই জানেন।’ তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার দুই মেয়ের লাশ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

 

কুষ্টিয়ার মিরপুর ফায়ার সার্ভিস টিমের সদস্যরা বলেন, দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা দ্রুত সেখানে যান। তখন সামান্য আগুন ছিল, দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে তার আগেই আগুনে কয়েকটি ঘর পুড়ে যায়। দুই শিশুও মারা যায়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। দিঘলকান্দি গ্রামের দুখু মিয়ার স্ত্রী রান্না করার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে দুখু মিয়ার দুই কন্যা সোনিয়া ও শর্মিলা পুড়ে মারা যায়।