কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রাস্তার জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২৫ জন আহত ও অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ,কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও ঢাকা হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় চারটি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র¿ণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চিলমারী বাজারের পাশ দিয়ে মাটির রাস্তা করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শিকদার বংশের সঙ্গে মন্ডল বংশের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ দিন দুপুরে মন্ডল বংশের লোকজন দলবেঁধে পাশের গ্রামে গিয়ে শিকদার বংশের লোকজনদের গালিগালাজ করে বিকেলে চিলমারী বাজারে এসে বসে ছিলেন। এ সময় শিকদার বংশের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালান।
এতে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘণ্টা চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। ইকবাল মন্ডল, জহুর আলী মন্ডল,অজিত মন্ডলের ছেলে রানা মন্ডল, করিম মন্ডলের ছেলে মোজাম্মেল মন্ডলসহ চারটি পরিবারের ঘরে পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, চিলমারী বাজারের পাশ দিয়ে মাটির রাস্তা করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শিকদার বংশের সঙ্গে মন্ডল বংশের জমিজমা নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের, মসজিদের সামনের রাস্তার জমি নিয়ে ইতিপূর্বে ৩ বার সালিশ হলে শিকদার বংশের লোকজন সালিশকে অমান্য করে আসছে, তাদের দাবি বর্তমান রাস্তা যেখান দিয়ে আছে তার পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে মসজিদ লাগোয়া করতে হবে। মন্ডল বংশ ও স্থানীয়রা এর বিরোধিতা করলে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ ঘটেছে। সংঘর্ষ এড়াতে পলিশ ঘটনা স্থলে অবস্থান করছে। এবিষয়ে থানায় একটি এজাহার জমা হয়েছে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।