চুয়াডাঙ্গা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলোচিত আরাভ মেহেরপুর থেকে মোটর সাইকেল আর মেয়ে নিয়ে পালিয়েছিল

আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে পরিচয়ে মেহেরপুরের এক তরুণীর সাথে বিবাব বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ। নিজেকে আপন নাম পরিচয়ে ওই তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল আরাভ ওরফে আপন। শেষ পর্যন্ত তরুণীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছিল।

 

তবে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি হতে হয়েছে ওই তরুণীর। আরাভের বিষয়টি সামনে আসার পর অনুসন্ধানে এই সম্পর্কের বিষয়টিও জানা গেছে।

 

জানা গেছে, সুরাইয়া আক্তার কেয়া নামের ওই তরুণীর বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে। অবশ্য মামা শশুরের মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় আরাভের সাথে সুসম্পর্ক ছিল না শশুর পক্ষের আত্মীয় স্বজনদের। অপরদিকে পুলিশ পরিদর্শক হত্যাকাণ্ডের পর স্ত্রী কেয়ার সাথে আরাভের বিচ্ছেদ ঘটে।

 

জানা গেছে, মায়ের সাথে ঢাকায় বসবাস করার সময় ২০১৩ সালে এসএসসি পাশ করে কেয়া। ভর্তি হয় ঢাকার একটি ম্যাটস কলেজে প্যাথলজি বিভাগে। কলেজে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আপন ওরফে আরাভের সাথে। ২০১৪ সালে কেয়া গ্রামে বেড়াতে আসে। এর এক দিন পর আপন ওরফে আরাভ তার এক বন্ধুকে নিয়ে কেয়াদের বাড়িতে আসে। পরদিন কেয়ার মামার একটি ডিসকভার ১৫০ সিসি মোটর সাইকেল ও কেয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায় আপন ওরফে আরাভ। পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে তারা ঢাকায় বসবাস শুরু করে। মোটর সাইকেল আর মেয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কেয়ার পরিবারের সাথে তাদের সু সম্পর্ক ছিল না।

 

এদিকে পুলিশ পরিদর্শক হত্যকাণ্ড মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিল কেয়া। জামিনে মুক্ত হয়ে আরাভকে ডিভোর্স দেয় কেয়। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করে কেয়া পাড়ি জমায় মালয়েশিয়া। আপন ওরফে আরাভের প্রতারণার শিকার কেয়ার জীবন তছনছ করে দিয়েছে বলে জানালেন তার মামা।

প্রসংঙ্গ :

বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড (বিএসআরএম) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫

avashnews

Powered by WooCommerce

আলোচিত আরাভ মেহেরপুর থেকে মোটর সাইকেল আর মেয়ে নিয়ে পালিয়েছিল

আপডেটঃ ০৯:৩২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে পরিচয়ে মেহেরপুরের এক তরুণীর সাথে বিবাব বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ। নিজেকে আপন নাম পরিচয়ে ওই তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল আরাভ ওরফে আপন। শেষ পর্যন্ত তরুণীর সাথে বিচ্ছেদ হয়েছিল।

 

তবে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি হতে হয়েছে ওই তরুণীর। আরাভের বিষয়টি সামনে আসার পর অনুসন্ধানে এই সম্পর্কের বিষয়টিও জানা গেছে।

 

জানা গেছে, সুরাইয়া আক্তার কেয়া নামের ওই তরুণীর বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে। অবশ্য মামা শশুরের মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় আরাভের সাথে সুসম্পর্ক ছিল না শশুর পক্ষের আত্মীয় স্বজনদের। অপরদিকে পুলিশ পরিদর্শক হত্যাকাণ্ডের পর স্ত্রী কেয়ার সাথে আরাভের বিচ্ছেদ ঘটে।

 

জানা গেছে, মায়ের সাথে ঢাকায় বসবাস করার সময় ২০১৩ সালে এসএসসি পাশ করে কেয়া। ভর্তি হয় ঢাকার একটি ম্যাটস কলেজে প্যাথলজি বিভাগে। কলেজে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আপন ওরফে আরাভের সাথে। ২০১৪ সালে কেয়া গ্রামে বেড়াতে আসে। এর এক দিন পর আপন ওরফে আরাভ তার এক বন্ধুকে নিয়ে কেয়াদের বাড়িতে আসে। পরদিন কেয়ার মামার একটি ডিসকভার ১৫০ সিসি মোটর সাইকেল ও কেয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায় আপন ওরফে আরাভ। পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে তারা ঢাকায় বসবাস শুরু করে। মোটর সাইকেল আর মেয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কেয়ার পরিবারের সাথে তাদের সু সম্পর্ক ছিল না।

 

এদিকে পুলিশ পরিদর্শক হত্যকাণ্ড মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিল কেয়া। জামিনে মুক্ত হয়ে আরাভকে ডিভোর্স দেয় কেয়। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করে কেয়া পাড়ি জমায় মালয়েশিয়া। আপন ওরফে আরাভের প্রতারণার শিকার কেয়ার জীবন তছনছ করে দিয়েছে বলে জানালেন তার মামা।