চুয়াডাঙ্গা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানায় ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পৃথক পৃথক অভিযোগ

গাংনীতে ১৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা এনজিও কর্মীরা

মেহেরপুরের গাংনীর পোড়াপাড়া গ্রামে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা কয়েক ব্যক্তি। ফেয়ার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচয় দেয় তারা। ঋণ নিতে এসে অফিসে কোন লোকজন না পেয়ে ভুক্তভোগীরা মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।পুলিশ বলছে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

জানা গেছে, ফেয়ার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচয় দিয়ে গাড়াডোব পোড়াপাড়া গ্রামের কথিত কবিরাজ শাবানা ওরফে পানসির বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে আস্তানা গাড়ে চার ব্যক্তি। বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা করার আলোচনার মধ্য দিয়ে কেটে যায় কয়েকদিন। শনিবার (১৫ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস উদ্বোধন ও ঋণ বিতরণের কথা বলে কবিরাজ শাবানা ওরফে পানসির একটি বাড়ির সামনে তৈরী করা হয় গেট। অফিসে রাখা হয় ডেকোরেশন থেকে আনা কয়েকটি টেবিল। তার উপরে রাখা হয় কয়েকটি খালি ফাইল, রেজিস্ট্রার ও ফাইল বক্স।

 

এ ফাঁকে তারা গাড়াডোব, আলমপুর, শ্যামপুর ও সাহারবাটিসহ বিভিন্ন গ্রামে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে থাকেন। এক লাখ টাকা ঋণের বিপরিতে সঞ্চয় জমা করতে হবে ১২ হাজর টাকা। এমন শর্তে ওই গ্রামগুলোর অসংখ্য মানুষ অজানা-অচেনা মানুষগুলোর হাতে তুলে দেন টাকা। এলাকার মানুষের মৌখিক হিসেবে এ টাকার পরিমাণ ১৫ লক্ষাধিক বলে জানা গেছে।

 

টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ পড়েছেন উল্লেখ করে গাড়ডোব গ্রামের জলিবিল পাড়ার আলমগীর হোসেন বলেন, বুধবার (১২ জুলাই) আমাদের পাড়ায় এক ব্যক্তি গিয়ে ওই সমবায় সমিতির পরিচয় দিয়ে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেয়। পানসি কবিরাজের বাড়িতে ১০ লাখ টাকা সিকিউরিটি দিয়ে তারা অফিস নিয়েছেন বলে জানায় আমাদের। ঋণ পাওয়ার জন্য আমরা লাখ প্রতি সাড়ে ১১ হাজার করে টাকা দেই। একই অভিযোগ করেন আরেক ভুক্তভোগী সবজি ব্যবসায়ী বকুল হোসেন জানান,

 

বৃহস্পতিবার রাত থেকে সমিতির লোকের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে শুক্রবার সকালে পানসি কবিরাজের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি একটি গেট তৈরী করা হয়েছে। তবে অফিসের কাউকে পাওয়া যায়নি।

 

পরিচয় নিশ্চিত আর জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কিভাবে ঘর ভাড়া দিলেন জানতে চাইলে পানসি কবিরাজ বলেন, চার জন লোক বুধবারে (১২ জুলাই) আমার বাড়িতে এসে ঘর ভাড়া নেওয়ার আলোচনা কলে। কাগজপত্র এবং তাদের ছবিসহ ঘরভাড়া চুক্তিনামা করতে বলে তারা শনিবার (১৫ জুলাই) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সব সম্পন্ন করবে মর্মে আশ^স্থ করে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার তারা আমার ঘরে ডেকেরেশন থেকে চেয়ার টেবিল নিয়ে এসে ঘরে রাখে। ডেকোরেশনের লোকজন বাড়ির প্রবেশ মুখে গেট করে দেয়। এর পর থেকে তাদেরকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

 

এদিকে ভুক্তভোগীরা সাধ্যমত চেষ্টা করেও ওই সমবায় সমিতির কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিদের হদিস পাচ্ছেন না। পরে শনিবার আলমপুরের এক ভুক্তভোগী মেহেরপুর সদর থানায় এবং গাড়াডোব গ্রামের এক ভুক্তভোগী গাংনী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষটি তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানায় ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পৃথক পৃথক অভিযোগ

গাংনীতে ১৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা এনজিও কর্মীরা

আপডেটঃ ০৫:৫২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩

মেহেরপুরের গাংনীর পোড়াপাড়া গ্রামে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা কয়েক ব্যক্তি। ফেয়ার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচয় দেয় তারা। ঋণ নিতে এসে অফিসে কোন লোকজন না পেয়ে ভুক্তভোগীরা মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।পুলিশ বলছে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

জানা গেছে, ফেয়ার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচয় দিয়ে গাড়াডোব পোড়াপাড়া গ্রামের কথিত কবিরাজ শাবানা ওরফে পানসির বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে আস্তানা গাড়ে চার ব্যক্তি। বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা করার আলোচনার মধ্য দিয়ে কেটে যায় কয়েকদিন। শনিবার (১৫ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস উদ্বোধন ও ঋণ বিতরণের কথা বলে কবিরাজ শাবানা ওরফে পানসির একটি বাড়ির সামনে তৈরী করা হয় গেট। অফিসে রাখা হয় ডেকোরেশন থেকে আনা কয়েকটি টেবিল। তার উপরে রাখা হয় কয়েকটি খালি ফাইল, রেজিস্ট্রার ও ফাইল বক্স।

 

এ ফাঁকে তারা গাড়াডোব, আলমপুর, শ্যামপুর ও সাহারবাটিসহ বিভিন্ন গ্রামে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে থাকেন। এক লাখ টাকা ঋণের বিপরিতে সঞ্চয় জমা করতে হবে ১২ হাজর টাকা। এমন শর্তে ওই গ্রামগুলোর অসংখ্য মানুষ অজানা-অচেনা মানুষগুলোর হাতে তুলে দেন টাকা। এলাকার মানুষের মৌখিক হিসেবে এ টাকার পরিমাণ ১৫ লক্ষাধিক বলে জানা গেছে।

 

টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ পড়েছেন উল্লেখ করে গাড়ডোব গ্রামের জলিবিল পাড়ার আলমগীর হোসেন বলেন, বুধবার (১২ জুলাই) আমাদের পাড়ায় এক ব্যক্তি গিয়ে ওই সমবায় সমিতির পরিচয় দিয়ে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেয়। পানসি কবিরাজের বাড়িতে ১০ লাখ টাকা সিকিউরিটি দিয়ে তারা অফিস নিয়েছেন বলে জানায় আমাদের। ঋণ পাওয়ার জন্য আমরা লাখ প্রতি সাড়ে ১১ হাজার করে টাকা দেই। একই অভিযোগ করেন আরেক ভুক্তভোগী সবজি ব্যবসায়ী বকুল হোসেন জানান,

 

বৃহস্পতিবার রাত থেকে সমিতির লোকের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে শুক্রবার সকালে পানসি কবিরাজের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি একটি গেট তৈরী করা হয়েছে। তবে অফিসের কাউকে পাওয়া যায়নি।

 

পরিচয় নিশ্চিত আর জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কিভাবে ঘর ভাড়া দিলেন জানতে চাইলে পানসি কবিরাজ বলেন, চার জন লোক বুধবারে (১২ জুলাই) আমার বাড়িতে এসে ঘর ভাড়া নেওয়ার আলোচনা কলে। কাগজপত্র এবং তাদের ছবিসহ ঘরভাড়া চুক্তিনামা করতে বলে তারা শনিবার (১৫ জুলাই) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সব সম্পন্ন করবে মর্মে আশ^স্থ করে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার তারা আমার ঘরে ডেকেরেশন থেকে চেয়ার টেবিল নিয়ে এসে ঘরে রাখে। ডেকোরেশনের লোকজন বাড়ির প্রবেশ মুখে গেট করে দেয়। এর পর থেকে তাদেরকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

 

এদিকে ভুক্তভোগীরা সাধ্যমত চেষ্টা করেও ওই সমবায় সমিতির কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিদের হদিস পাচ্ছেন না। পরে শনিবার আলমপুরের এক ভুক্তভোগী মেহেরপুর সদর থানায় এবং গাড়াডোব গ্রামের এক ভুক্তভোগী গাংনী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষটি তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।