চুয়াডাঙ্গা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
এটাই বাংলাদেশ, যেখানে মুসলমানরা মন্দির পাহারা দেয়: সংস্কৃতি উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও কম্বল বিতরণ  টিউলিপ সিদ্দিকির এমপি পদে থাকা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে: সিপিডি নির্বাহী পরিচালক নব্য দখলদার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা জামায়াত আমিরের লাল সন্ত্রাস ঘোষণাকারী মেঘমোল্লার বসুকে গ্রেফতারের দাবি জীবননগরে ১৬ বছর পর ৬৭ একর বিএডিসির জমি উদ্ধার নির্ধারিত সময়েই হবে বিশ্ব ইজতেমা: ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বাংলাদেশ ডাক বিভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ গণহত্যার বিচারের আগে আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: রাশেদ সংবাদ মাধ্যমে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি

দামুড়হুদার মালয়েশিয়া প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আকুতি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী বখতিয়ার হোসেন কালুর (৪৭) মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আকুতি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। আদৌ তার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন পরিবারের লোকজন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও দুই দেশের রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

 

জানা গেছে, জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত দোস্ত মোহাম্মদ ওরয়ে দচু বিশ্বাসের ছেলে বখতিয়ার হোসেন কালু বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

বখতিয়ারের চাচা হাউলি ইউপির সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বখতিয়ার হোসেন কালু মালয়েশিয়ার শাহ আলম বুধরোজা শহরে থাকতেন। প্রবাসে তার আয় তেমন ভালো ছিল না। কখনো কাজ করে, কখনো না করে ভালো কিছু করার স্বপ্নে ৯ বছর কাটান মালয়েশিয়ায়। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বর্তমানে তার লাশ মালয়েশিয়ার শাহ আলম হাসপাতালে পড়ে আছে।

 

সঠিক কাগজপত্র ও অর্থ না থাকায় তার লাশ স্বজনরা দেশে আনতে পারছেন না। আর লাশ আদৌ দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবেন কি না পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তার মরদেহ শেষবারের মতো দেখতে আকুতি জানাচ্ছেন স্বজনরা। সেই সঙ্গে নিজ জন্মভূমিতে তাকে দাফন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলি আজগার টগরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

বখতিয়ারের একমাত্র ছেলে মাহিন (১১) বলে, আমার বাবাকে আমি দেখিনি। আমার বয়স যখন দুই বছর, ঠিক তখন বাবা মালয়েশিয়ায় চলে যান। আমার বাবার কথা ঠিকমতো মনে পড়ে না। তাই আমার বাবাকে আমি শেষবারের মতো দেখতে চাই।

avashnews

এটাই বাংলাদেশ, যেখানে মুসলমানরা মন্দির পাহারা দেয়: সংস্কৃতি উপদেষ্টা

avashnews

Powered by WooCommerce

দামুড়হুদার মালয়েশিয়া প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আকুতি

আপডেটঃ ০৫:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী বখতিয়ার হোসেন কালুর (৪৭) মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আকুতি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। আদৌ তার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন পরিবারের লোকজন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও দুই দেশের রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

 

জানা গেছে, জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত দোস্ত মোহাম্মদ ওরয়ে দচু বিশ্বাসের ছেলে বখতিয়ার হোসেন কালু বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

বখতিয়ারের চাচা হাউলি ইউপির সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বখতিয়ার হোসেন কালু মালয়েশিয়ার শাহ আলম বুধরোজা শহরে থাকতেন। প্রবাসে তার আয় তেমন ভালো ছিল না। কখনো কাজ করে, কখনো না করে ভালো কিছু করার স্বপ্নে ৯ বছর কাটান মালয়েশিয়ায়। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বর্তমানে তার লাশ মালয়েশিয়ার শাহ আলম হাসপাতালে পড়ে আছে।

 

সঠিক কাগজপত্র ও অর্থ না থাকায় তার লাশ স্বজনরা দেশে আনতে পারছেন না। আর লাশ আদৌ দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবেন কি না পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তার মরদেহ শেষবারের মতো দেখতে আকুতি জানাচ্ছেন স্বজনরা। সেই সঙ্গে নিজ জন্মভূমিতে তাকে দাফন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলি আজগার টগরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

বখতিয়ারের একমাত্র ছেলে মাহিন (১১) বলে, আমার বাবাকে আমি দেখিনি। আমার বয়স যখন দুই বছর, ঠিক তখন বাবা মালয়েশিয়ায় চলে যান। আমার বাবার কথা ঠিকমতো মনে পড়ে না। তাই আমার বাবাকে আমি শেষবারের মতো দেখতে চাই।