চুয়াডাঙ্গা ০২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DC Office Job Circular 2025 ৮ ফেব্রুয়ারি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ হবে মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নিয়োগ CS Munshiganj Job circular 2025 রমজানকে আয়ের মাস মনে করে ব্যবসায়ীরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীতে আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে পালাক্রমে সারারাত ধর্ষণ বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি BBAL Job Circular 2025 যারা আ.লীগের লিফলেট বিতরণ করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে : প্রেস সচিব রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি RMMC Job Circular 2025 রেললাইন থেকে জনগণই তুলে দেবে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

দামুড়হুদার মালয়েশিয়া প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আকুতি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী বখতিয়ার হোসেন কালুর (৪৭) মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আকুতি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। আদৌ তার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন পরিবারের লোকজন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও দুই দেশের রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

 

জানা গেছে, জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত দোস্ত মোহাম্মদ ওরয়ে দচু বিশ্বাসের ছেলে বখতিয়ার হোসেন কালু বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

বখতিয়ারের চাচা হাউলি ইউপির সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বখতিয়ার হোসেন কালু মালয়েশিয়ার শাহ আলম বুধরোজা শহরে থাকতেন। প্রবাসে তার আয় তেমন ভালো ছিল না। কখনো কাজ করে, কখনো না করে ভালো কিছু করার স্বপ্নে ৯ বছর কাটান মালয়েশিয়ায়। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বর্তমানে তার লাশ মালয়েশিয়ার শাহ আলম হাসপাতালে পড়ে আছে।

 

সঠিক কাগজপত্র ও অর্থ না থাকায় তার লাশ স্বজনরা দেশে আনতে পারছেন না। আর লাশ আদৌ দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবেন কি না পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তার মরদেহ শেষবারের মতো দেখতে আকুতি জানাচ্ছেন স্বজনরা। সেই সঙ্গে নিজ জন্মভূমিতে তাকে দাফন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলি আজগার টগরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

বখতিয়ারের একমাত্র ছেলে মাহিন (১১) বলে, আমার বাবাকে আমি দেখিনি। আমার বয়স যখন দুই বছর, ঠিক তখন বাবা মালয়েশিয়ায় চলে যান। আমার বাবার কথা ঠিকমতো মনে পড়ে না। তাই আমার বাবাকে আমি শেষবারের মতো দেখতে চাই।

জনপ্রিয়
avashnews

ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

avashnews

Powered by WooCommerce

দামুড়হুদার মালয়েশিয়া প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আকুতি

আপডেটঃ ০৫:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী বখতিয়ার হোসেন কালুর (৪৭) মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আকুতি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। আদৌ তার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন পরিবারের লোকজন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও দুই দেশের রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

 

জানা গেছে, জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত দোস্ত মোহাম্মদ ওরয়ে দচু বিশ্বাসের ছেলে বখতিয়ার হোসেন কালু বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

বখতিয়ারের চাচা হাউলি ইউপির সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বখতিয়ার হোসেন কালু মালয়েশিয়ার শাহ আলম বুধরোজা শহরে থাকতেন। প্রবাসে তার আয় তেমন ভালো ছিল না। কখনো কাজ করে, কখনো না করে ভালো কিছু করার স্বপ্নে ৯ বছর কাটান মালয়েশিয়ায়। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বর্তমানে তার লাশ মালয়েশিয়ার শাহ আলম হাসপাতালে পড়ে আছে।

 

সঠিক কাগজপত্র ও অর্থ না থাকায় তার লাশ স্বজনরা দেশে আনতে পারছেন না। আর লাশ আদৌ দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবেন কি না পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তার মরদেহ শেষবারের মতো দেখতে আকুতি জানাচ্ছেন স্বজনরা। সেই সঙ্গে নিজ জন্মভূমিতে তাকে দাফন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলি আজগার টগরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

বখতিয়ারের একমাত্র ছেলে মাহিন (১১) বলে, আমার বাবাকে আমি দেখিনি। আমার বয়স যখন দুই বছর, ঠিক তখন বাবা মালয়েশিয়ায় চলে যান। আমার বাবার কথা ঠিকমতো মনে পড়ে না। তাই আমার বাবাকে আমি শেষবারের মতো দেখতে চাই।