চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী বখতিয়ার হোসেন কালুর (৪৭) মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আকুতি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। আদৌ তার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন পরিবারের লোকজন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও দুই দেশের রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
জানা গেছে, জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত দোস্ত মোহাম্মদ ওরয়ে দচু বিশ্বাসের ছেলে বখতিয়ার হোসেন কালু বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বখতিয়ারের চাচা হাউলি ইউপির সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বখতিয়ার হোসেন কালু মালয়েশিয়ার শাহ আলম বুধরোজা শহরে থাকতেন। প্রবাসে তার আয় তেমন ভালো ছিল না। কখনো কাজ করে, কখনো না করে ভালো কিছু করার স্বপ্নে ৯ বছর কাটান মালয়েশিয়ায়। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বর্তমানে তার লাশ মালয়েশিয়ার শাহ আলম হাসপাতালে পড়ে আছে।
সঠিক কাগজপত্র ও অর্থ না থাকায় তার লাশ স্বজনরা দেশে আনতে পারছেন না। আর লাশ আদৌ দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবেন কি না পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তার মরদেহ শেষবারের মতো দেখতে আকুতি জানাচ্ছেন স্বজনরা। সেই সঙ্গে নিজ জন্মভূমিতে তাকে দাফন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলি আজগার টগরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বখতিয়ারের একমাত্র ছেলে মাহিন (১১) বলে, আমার বাবাকে আমি দেখিনি। আমার বয়স যখন দুই বছর, ঠিক তখন বাবা মালয়েশিয়ায় চলে যান। আমার বাবার কথা ঠিকমতো মনে পড়ে না। তাই আমার বাবাকে আমি শেষবারের মতো দেখতে চাই।