চুয়াডাঙ্গা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ, চাকরি হারালেন সহকারী পুলিশ সুপার

অফিস কাম-বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাতে অবস্থান করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত এবং সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী পুলিশ সুপার মোহা. আব্দুর রকিব খান চাকরি হারিয়েছেন।

সোমবার (২৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।

 

 

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ত্রিশাল সার্কেল, ময়মনসিংহ জেলায় কর্মরত থাকাকালে অফিস কাম-বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাতে অবস্থান করাসহ ফুলবাড়ীয়া থানায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবরের মামলা নং-১৮, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) রুজুকৃত মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান ও বেদখল হওয়া দোকান ঘর উদ্ধারের জন্য জনৈক মো. গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণসহ উপরোল্লিখিত অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

 

এতে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করলে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তার কারণ দর্শানোর জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে পক্ষদের দেওয়া বক্তব্য এবং প্রাসঙ্গিক সব তথ্যাদি বিবেচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের সম্ভাবনা থাকায় আনিত অভিযোগগুলো তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিভাগীয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

 

 

তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।

 

এতে জানানো হয়, সার্বিক পর্যালোচনায় অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় বিধি মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকে ২য় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তা ২য় কারণ দর্শানো জবাব দেন। তার জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন, প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি অপরাধের গুরুত্ব ইত্যাদি সার্বিক বিবেচনায় ‘অসদাচরণ’ এর প্রমাণিত অভিযোগে বিধি মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর দণ্ড দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পরামর্শের জন্য প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় বিধি অনুযায়ী ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর গুরুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেয়।

 

 

প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, মোহা. আব্দুর রকিব খানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি (গ) মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। সেজন্য তাকে ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ গুরুদণ্ড দেওয়া হলো। একইসঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হলো। তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না।

সুত্রঃ ডিবিসি নিউজ  ২৭/০৩/২৩

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ, চাকরি হারালেন সহকারী পুলিশ সুপার

আপডেটঃ ০৯:১৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

অফিস কাম-বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাতে অবস্থান করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত এবং সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী পুলিশ সুপার মোহা. আব্দুর রকিব খান চাকরি হারিয়েছেন।

সোমবার (২৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।

 

 

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ত্রিশাল সার্কেল, ময়মনসিংহ জেলায় কর্মরত থাকাকালে অফিস কাম-বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাতে অবস্থান করাসহ ফুলবাড়ীয়া থানায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবরের মামলা নং-১৮, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) রুজুকৃত মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান ও বেদখল হওয়া দোকান ঘর উদ্ধারের জন্য জনৈক মো. গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণসহ উপরোল্লিখিত অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

 

এতে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করলে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তার কারণ দর্শানোর জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে পক্ষদের দেওয়া বক্তব্য এবং প্রাসঙ্গিক সব তথ্যাদি বিবেচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের সম্ভাবনা থাকায় আনিত অভিযোগগুলো তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিভাগীয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

 

 

তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।

 

এতে জানানো হয়, সার্বিক পর্যালোচনায় অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় বিধি মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকে ২য় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তা ২য় কারণ দর্শানো জবাব দেন। তার জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন, প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি অপরাধের গুরুত্ব ইত্যাদি সার্বিক বিবেচনায় ‘অসদাচরণ’ এর প্রমাণিত অভিযোগে বিধি মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর দণ্ড দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পরামর্শের জন্য প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় বিধি অনুযায়ী ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ এর গুরুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেয়।

 

 

প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, মোহা. আব্দুর রকিব খানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি (গ) মোতাবেক ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। সেজন্য তাকে ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ গুরুদণ্ড দেওয়া হলো। একইসঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হলো। তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন কোনো বকেয়া প্রাপ্য হবেন না।

সুত্রঃ ডিবিসি নিউজ  ২৭/০৩/২৩