দুই ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগ দাবিতে উত্তপ্ত আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এনিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা সকাল থেকে একাধিকবার বৈঠক করে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পদোন্নতি পাওয়া দুজন ডেপুটি গভর্নরকে পদত্যাগের দাবি জানান। পাশাপাশি দলের পদত্যাগ করতে ডেপুটি গভর্নরদের কক্ষে যান।
পরে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে দুই ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগের দাবি তুলে ধরেন। এসময় গভর্নর তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। গভর্নর বলেন, আর্থিকখাতের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এই মুহূর্তে তাদের চাকরিচ্যুত করা হলে আর্থিকখাতে বড় ধরনের সমস্যার পাশাপাশি বহিঃবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। এজন্য তাদের পোর্টফোলিও দেখে কাজের পরিধির কমিয়ে আনা হবে বলে জানান।
এ সময় কর্মকর্তারা জানান, মূলত তাদের কারণেই আর্থিকখাতের সংস্কার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জবাবে গভর্নর বলেন, শিগগিরই আমি এ দু’জন ডেপুটি গভর্নরের বিষয়ে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দলীয় রাজনীতি সীমাবদ্ধ করতে দলীয় নির্বাচনের পরিবর্তে ব্যক্তি নির্বাচনের মত দেন। একই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠেয় সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া দুই ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমানকে পদত্যাগের দাবিতে সর্বদলীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তাদের পদত্যাগের আল্টিমেটামও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সঙ্গে দেখা করে ৪০ সদস্যের একটি টিম দুই ডিজির পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন। নির্ধারিত সময়ে পদত্যাগ না করলে পরে ব্যাংকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০তলা ভবনে সর্বদলীয় ডাক দিয়েছেন।
আরএস