জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে কার্যকরি ভূমিকা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট নামের এক সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের নেতারা এ কথা বলেছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব জননেতা অধ্যক্ষ স উ ম আব্দুস সামাদ বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে কার্যকরি ভূমিকা নিতে হবে। কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করা চলবে না। আমরা বীরের জাতি। আমাদের পরাজয়ের কোনো ইতিহাস নেই। ভারতের উগ্রবাদী কয়েকজন নেতার উস্কানি ও উগ্রবাদী মিডিয়া অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের লেলিয়ে দিচ্ছে।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ভারতে নিয়মিত উগ্রবাদী গোষ্ঠি সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর নিপীড়ন করে আসছে। অথচ, বাংলাদেশের বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে তারা তুলকালামকাণ্ড ঘটাচ্ছে। আজমীর শরীফ নিয়ে আদালতের হটকারিতা ও সামভাল জামে মসজিদে ৩ জন মুসল্লিকে হত্যা নিয়ে ভারতীয় উগ্র-সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা সর্বজনজ্ঞাত। কিন্তু, তাদের এহেন অপকর্মে বাংলাদেশ নাক গলায়নি। আমরা মনে করছি, ক্ষমতাধর উগ্রবাদী গোষ্ঠির প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে নানা অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ করার নীলনকশাও দৃশ্যমান হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে ভারত সরকার বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য। তাই এ ব্যাপারে ড. ইউনুসের অন্তবর্তী সরকারকে আরো কঠোর ভূমিকা নিতে হবে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুজাফ্ফর আহমদ মুজাদ্দেদী, আইন সচিব এডভোকেট মোহাম্মদ ইকবাল হাছান প্রমুখ।