চুয়াডাঙ্গা ০৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
টিউলিপ সিদ্দিকির এমপি পদে থাকা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে: সিপিডি নির্বাহী পরিচালক নব্য দখলদার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা জামায়াত আমিরের লাল সন্ত্রাস ঘোষণাকারী মেঘমোল্লার বসুকে গ্রেফতারের দাবি জীবননগরে ১৬ বছর পর ৬৭ একর বিএডিসির জমি উদ্ধার নির্ধারিত সময়েই হবে বিশ্ব ইজতেমা: ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বাংলাদেশ ডাক বিভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ গণহত্যার বিচারের আগে আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: রাশেদ সংবাদ মাধ্যমে কপিরাইট ইনফোর্সমেন্ট খুবই জরুরি শেখ পরিবারের রক্ত থাকায় টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন: রিজভী সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে জিয়াউল আহসানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ

মণিপুরে দুই মন্ত্রী-তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা, আগুন


Monipur 6739755f116ba

উত্তপ্ত মণিপুরে এবার উত্তেজিত জনতার নিশানায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের বাড়িতে হামলা চালায় তারা। দরজা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয় পুলিশকে।

শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, রাজ্যটির দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

শুক্রবার রাতে জিরিবাম বিভাগে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যাদের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি বিদ্রোহীরা অপহরণ করেছিল। আর এই মরদেহ উদ্ধারের পর শনিবার সকালে ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে মণিপুর। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইত গোষ্ঠীর সাধারণ মানুষ বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামেন। এ সময় দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে আগুন দেন তারা।

বিধায়কদের বাড়িতে হামলার পর রাজধানী ইম্ফালের পশ্চিম প্রশাসন উক্ত বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিধিনিষেধ মূলক নির্দেশনা জারি করেছে।

উত্তেজিত জনতার একটি অংশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সাপাম রঞ্জনের লামফেলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

অপরদিকে ইম্ফালের পশ্চিম বিভাগের সাগোলবান্দে বিজেপির বিধায়ক আরকে ইমোর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আরকে ইমো মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের মেয়ের জামাই।

এছাড়া বিক্ষোভকারীরা স্বতন্ত্র বিধায়ক সাপাম নিশিকান্ত সিংয়ের মালিকানাধীন একটি পত্রিকায় ভাঙচুর চালান।

কুকি বিদ্রোহীরা জিরিবাম থেকে মোট ছয়জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। যারমধ্যে তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনজনের দুজন শিশু। বাকি একটি মরদেহ এক নারীর। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের অনেক আগেই হত্যা করা হয়েছে। কারণ মরদেহগুলো ফুলে ফেঁপে গিয়ে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখার সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে সন্দেহভাজন ১০ কুকি বিদ্রোহী নিহত হয়।

এক বছরের বেশি সময় আগে কুকি ও মেইত উপজাতির মধ্যে সাম্প্রতিক দাঙ্গা শুরু হয়। শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও রাজ্যটি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মূলত উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত কোটা নিয়ে এই সংঘাতের সৃষ্টি হয়।





Source link

প্রসংঙ্গ :
avashnews

টিউলিপ সিদ্দিকির এমপি পদে থাকা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে: সিপিডি নির্বাহী পরিচালক

avashnews

Powered by WooCommerce

মণিপুরে দুই মন্ত্রী-তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা, আগুন

আপডেটঃ ০৪:৩৩:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪


Monipur 6739755f116ba

উত্তপ্ত মণিপুরে এবার উত্তেজিত জনতার নিশানায় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের বাড়িতে হামলা চালায় তারা। দরজা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয় পুলিশকে।

শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, রাজ্যটির দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

শুক্রবার রাতে জিরিবাম বিভাগে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যাদের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি বিদ্রোহীরা অপহরণ করেছিল। আর এই মরদেহ উদ্ধারের পর শনিবার সকালে ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে মণিপুর। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইত গোষ্ঠীর সাধারণ মানুষ বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামেন। এ সময় দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে আগুন দেন তারা।

বিধায়কদের বাড়িতে হামলার পর রাজধানী ইম্ফালের পশ্চিম প্রশাসন উক্ত বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিধিনিষেধ মূলক নির্দেশনা জারি করেছে।

উত্তেজিত জনতার একটি অংশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সাপাম রঞ্জনের লামফেলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

অপরদিকে ইম্ফালের পশ্চিম বিভাগের সাগোলবান্দে বিজেপির বিধায়ক আরকে ইমোর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আরকে ইমো মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের মেয়ের জামাই।

এছাড়া বিক্ষোভকারীরা স্বতন্ত্র বিধায়ক সাপাম নিশিকান্ত সিংয়ের মালিকানাধীন একটি পত্রিকায় ভাঙচুর চালান।

কুকি বিদ্রোহীরা জিরিবাম থেকে মোট ছয়জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। যারমধ্যে তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনজনের দুজন শিশু। বাকি একটি মরদেহ এক নারীর। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের অনেক আগেই হত্যা করা হয়েছে। কারণ মরদেহগুলো ফুলে ফেঁপে গিয়ে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখার সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে সন্দেহভাজন ১০ কুকি বিদ্রোহী নিহত হয়।

এক বছরের বেশি সময় আগে কুকি ও মেইত উপজাতির মধ্যে সাম্প্রতিক দাঙ্গা শুরু হয়। শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও রাজ্যটি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মূলত উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত কোটা নিয়ে এই সংঘাতের সৃষ্টি হয়।





Source link