মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভর্সিটিতে জুলাই আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে দোয়া ও প্রীতি সমাবেশ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে দোয়া ও প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক, নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সেলিম উদ্দীন।
শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়োজনে এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও সিএসই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাহবুব আলম, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ড. আবু আইয়ুব মো. ইব্রাহিম, রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শহিদ শাকিল হোসেনের বাবা বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি একটি মানবিক ইউনিভার্সিটি ও মানবিক বাংলাদেশ চাই উল্লেখ করে সেই মানবিক দেশ গড়ার আন্দোলনে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকসহ সমাজের সচেতন মহলকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির দুই শহিদ শাকিল হোসেন ও আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহসহ শহিদদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন, ‘গত পতিত সরকার মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছিল। শহিদদের রক্তের বিনিময়ে তা আবার আমরা ফিরে পেয়েছি। তাই দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়োজিত একদল আদর্শবান ও প্রশিক্ষিত মেধাবী প্রজন্ম উপহার দেওয়ার যে লক্ষ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানাই।’
প্রীতি সামাবেশ শেষে আন্দোলনে শহিদদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়।
/এএস