চুয়াডাঙ্গা ০৬:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রদল নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার



ছাত্রদল নেতা তুহিনুর রহমানকে অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় তার মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে জানা গেছে, গত ২৫ আগস্ট রাজবাড়ী জেলা বালিয়াকান্দি আমলী আদালতে সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিম, আবুল কালাম আজাদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আরও তিন অজ্ঞাতনামা আসামির নামও উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তুহিনুর রহমানকে অপহরণের পর নির্যাতন করা হয় এবং তাকে হত্যাচেষ্টার পাশাপাশি চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে বালিয়াকান্দি থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তুহিনুর রহমানকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালানো হয় এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হয় এবং বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়। পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর তুহিন গুরুতর আঘাত পেয়ে ভারতে চিকিৎসা নেন এবং পরে ঢাকায় অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে সুস্থ হতে পারেননি।
ঘটনার পর তুহিন এ মামলা দায়ের করতে চাইলে ক্রসফায়ারের হুমকির কারণে দীর্ঘদিন তিনি পরিবারসহ রাজবাড়ী জেলার বাইরে বসবাস করছিলেন। তবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি এই মামলা দায়ের করেন।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন জানান, তুহিনুর রহমানের দায়ের করা মামলায় ৭ নম্বর আসামি ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। তাকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রতিনিধি/একেবি



সুত্র ঢাকামেইল

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

ছাত্রদল নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার

আপডেটঃ ১২:৫৩:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪



ছাত্রদল নেতা তুহিনুর রহমানকে অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় তার মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে জানা গেছে, গত ২৫ আগস্ট রাজবাড়ী জেলা বালিয়াকান্দি আমলী আদালতে সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিম, আবুল কালাম আজাদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আরও তিন অজ্ঞাতনামা আসামির নামও উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তুহিনুর রহমানকে অপহরণের পর নির্যাতন করা হয় এবং তাকে হত্যাচেষ্টার পাশাপাশি চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে বালিয়াকান্দি থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তুহিনুর রহমানকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালানো হয় এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হয় এবং বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়। পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর তুহিন গুরুতর আঘাত পেয়ে ভারতে চিকিৎসা নেন এবং পরে ঢাকায় অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে সুস্থ হতে পারেননি।
ঘটনার পর তুহিন এ মামলা দায়ের করতে চাইলে ক্রসফায়ারের হুমকির কারণে দীর্ঘদিন তিনি পরিবারসহ রাজবাড়ী জেলার বাইরে বসবাস করছিলেন। তবে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি এই মামলা দায়ের করেন।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন জানান, তুহিনুর রহমানের দায়ের করা মামলায় ৭ নম্বর আসামি ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। তাকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রতিনিধি/একেবি



সুত্র ঢাকামেইল