চুয়াডাঙ্গা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৯ বস্তা টাকা,


কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স (সিন্দুক) ও দুটি ট্রাঙ্ক তিন মাস ১৪ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে।


দানবাক্সের (সিন্দুক) টাকাগুলো ২৯টি বস্তায় ভরা হয়েছে।


শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স (সিন্দুক) ও দুটি ট্রাঙ্ক খোলা হয়।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন-কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ আরো অনেকেই।


কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


তিনি জানান, এখন গণনার কাজ চলছে। গণনা শেষে কী পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার জমা পড়েছে সেটা জানা যাবে।


টাকা গণনা কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, কিশোরগঞ্জ সদর

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) রওশন কবীরসহ মাদরাসার ২৮৫ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য

অংশ নিয়েছেন।


সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। এবার তিন মাস ১৪ দিন পর মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়েছে।


এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছরের ১৭ আগস্ট মসজিদের দান বাক্স (সিন্দুক) খুলে গণনা করে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।


কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।


সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।


বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৪ 

এসএএইচ





সুত্র লিংক

প্রসংঙ্গ :

বাংলাদেশি ১৩ যুবককে আটকের কথা স্বীকার করল বিএসএফ

avashnews

Powered by WooCommerce

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৯ বস্তা টাকা,

আপডেটঃ ১০:০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪


কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স (সিন্দুক) ও দুটি ট্রাঙ্ক তিন মাস ১৪ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে।


দানবাক্সের (সিন্দুক) টাকাগুলো ২৯টি বস্তায় ভরা হয়েছে।


শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স (সিন্দুক) ও দুটি ট্রাঙ্ক খোলা হয়।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন-কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ আরো অনেকেই।


কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


তিনি জানান, এখন গণনার কাজ চলছে। গণনা শেষে কী পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার জমা পড়েছে সেটা জানা যাবে।


টাকা গণনা কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, কিশোরগঞ্জ সদর

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) রওশন কবীরসহ মাদরাসার ২৮৫ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য

অংশ নিয়েছেন।


সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। এবার তিন মাস ১৪ দিন পর মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়েছে।


এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছরের ১৭ আগস্ট মসজিদের দান বাক্স (সিন্দুক) খুলে গণনা করে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।


কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।


সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।


বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৪ 

এসএএইচ





সুত্র লিংক