চুয়াডাঙ্গা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুরুর বিপর্যয় সামলে দিনশেষে স্বস্তিতে বাংলাদেশ


বৃষ্টিবিঘ্নিত জ্যামাইকা টেস্টে আবারও টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাচের শুরুতে দলীয় ১০ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। তবে সাদমানের অর্ধশতক ও দীপুর ব্যাটিং দৃঢ়তায় ভর করে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রানে দিনের বাকিটা সময় পার করে স্বস্তিতেই রয়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ৩০ ওভার খেলা হয়েছে।

এর আগে, ভেজা আউটফিল্ডের কারণে দুই সেশনের খেলাই মাঠে গড়ায়নি। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় টসের কথা ছিল। কিংস্টনে মাঠ অপ্রস্তুত থাকায় টসে বিলম্ব হয়েছে। সেই সঙ্গে ভেস্তে যায় দিনের এক সেশন। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর টস হয়।

এদিন কেমার রোচের সামনে শুরুতে খাবি খেয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৮ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। রোচের করা পঞ্চম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জয়।

১০ বল পর বিদায় নেন মুমিনুল হকও। তিনিও রোচের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ৬ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।

মাত্র ১০ রানে ২ উইকেটের পতনের পর ওপেনার সাদমান ও শাহাদাত হোসেন দীপু জুটি গড়েন। দিনের বাকি সময়টায় বাংলাদেশ আর কোনো উইকেট হারায়নি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৯ রান যোগ করে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।

তবে এই জুটির পেছনে ক্যারিবীয় ফিল্ডারদের অবদানও কম নয়। দলীয় ২৪ রানের মাথায় আলজারি জোসেফের বলে সাদমানের ক্যাচ স্লিপে ফেলেন আথানজে। গ্রেভসের করা ১৯তম ওভারে বফের জীবন পান সাদমান। এবার ক্যাচ ফেলেন ব্রাথওয়েট। বাংলাদেশের রান তখন ৫০। পরের ওভারে জীবন পান দীপুও। সিলসের বলে ফের ক্যাচ ছাড়েন আথানজে।

সময়ের সঙ্গে সাদমান-দীপু জুটি ক্রিজে স্বচ্ছন্দ হয়ে ওঠেন। ২৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হজকে ছক্কা মারেন সাদমান, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ছক্কা। ২০তম টেস্টের ৩৮তম ইনিংসে প্রথম ছক্কা মারলেন এই ওপেনার। দিনের বাকি সময় নির্বিঘ্নেই পার করেছেন সাদমান-দীপু জুটি।

সাদমান ১০০ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৫০ রান করে অপরাজিত আছেন। দীপু ৬৩ বলে ১২ রানে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন। ২০ টেস্টের ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন সাদমান। একটি সেঞ্চুরিও আছে তার নামের পাশে।

এমএইচটি



সুত্র ঢাকামেইল

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

শুরুর বিপর্যয় সামলে দিনশেষে স্বস্তিতে বাংলাদেশ

আপডেটঃ ০৭:১২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪


বৃষ্টিবিঘ্নিত জ্যামাইকা টেস্টে আবারও টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাচের শুরুতে দলীয় ১০ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। তবে সাদমানের অর্ধশতক ও দীপুর ব্যাটিং দৃঢ়তায় ভর করে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রানে দিনের বাকিটা সময় পার করে স্বস্তিতেই রয়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ৩০ ওভার খেলা হয়েছে।

এর আগে, ভেজা আউটফিল্ডের কারণে দুই সেশনের খেলাই মাঠে গড়ায়নি। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় টসের কথা ছিল। কিংস্টনে মাঠ অপ্রস্তুত থাকায় টসে বিলম্ব হয়েছে। সেই সঙ্গে ভেস্তে যায় দিনের এক সেশন। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর টস হয়।

এদিন কেমার রোচের সামনে শুরুতে খাবি খেয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৮ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। রোচের করা পঞ্চম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জয়।

১০ বল পর বিদায় নেন মুমিনুল হকও। তিনিও রোচের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ৬ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।

মাত্র ১০ রানে ২ উইকেটের পতনের পর ওপেনার সাদমান ও শাহাদাত হোসেন দীপু জুটি গড়েন। দিনের বাকি সময়টায় বাংলাদেশ আর কোনো উইকেট হারায়নি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৯ রান যোগ করে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।

তবে এই জুটির পেছনে ক্যারিবীয় ফিল্ডারদের অবদানও কম নয়। দলীয় ২৪ রানের মাথায় আলজারি জোসেফের বলে সাদমানের ক্যাচ স্লিপে ফেলেন আথানজে। গ্রেভসের করা ১৯তম ওভারে বফের জীবন পান সাদমান। এবার ক্যাচ ফেলেন ব্রাথওয়েট। বাংলাদেশের রান তখন ৫০। পরের ওভারে জীবন পান দীপুও। সিলসের বলে ফের ক্যাচ ছাড়েন আথানজে।

সময়ের সঙ্গে সাদমান-দীপু জুটি ক্রিজে স্বচ্ছন্দ হয়ে ওঠেন। ২৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হজকে ছক্কা মারেন সাদমান, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ছক্কা। ২০তম টেস্টের ৩৮তম ইনিংসে প্রথম ছক্কা মারলেন এই ওপেনার। দিনের বাকি সময় নির্বিঘ্নেই পার করেছেন সাদমান-দীপু জুটি।

সাদমান ১০০ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৫০ রান করে অপরাজিত আছেন। দীপু ৬৩ বলে ১২ রানে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন। ২০ টেস্টের ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন সাদমান। একটি সেঞ্চুরিও আছে তার নামের পাশে।

এমএইচটি



সুত্র ঢাকামেইল