শীতে ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই এ সময় নিজের যত্ন নেওয়া চাই। নয়তো সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন অঙ্গ হুমকির মুখে পড়বে। শীতে ফুসফুস ভালো রাখতে কয়েকটি পানীয়ের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। এতে ফুসফুসের বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়ে যাবে।
শীতকালে সর্দি-কাশিকে প্রতিরোধ করে সুস্থ থাকতে হলে করতে পারেন এই ৬টি কাজ-
লেবু-মধুর পানি
ওজন কমাতে অনেকেই ঘুম থেকে উঠে ঈষদুষ্ণ পানিতে লেবু,মধু মিশিয়ে পান করেন। এই পানীয় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকর। ফুসফুস দূষণমুক্ত রাখতেও এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন।
হলুদ-আদার চা
কাশি হলে অনেকেই আদা খান। সর্দি-কাশি হলে আদা চিবিয়ে খেলে শ্বাসযন্ত্রের আরাম হয়। আদা চিবিয়ে খেলে ফুসফুসে জমা দূষিত পদার্থ দূর হয়। ফুসফুস ভালো রাখতে সকালে আদা ও কাঁচা হলুদের চা পান করতে পারেন। ফুসফুসে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে এই পানীয় বেশ কার্যকর।
গ্রিন টি
গ্রিন টিতে আছে ক্যাটাচিন নামক উপাদান, যা শরীরের বিভিন্ন উপকারে কাজ করে এবং পেটের মেদ কমাতেও ভূমিকা রাখে। গ্রিন টিতে থাকা থিয়ানিন নামক অ্যামাইনো এসিড অবসাদ বা ডিপ্রেশন কমাতে ভূমিকা রাখে। গ্রিন টির উপাদান মস্তিষ্কের জন্যও স্বাস্থ্যকর।ফুসফুসে জমা ক্ষতিকারক পদার্থও সহজে বের করতে পারে এই পানীয়।
মধু
শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখা, সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানো সহজ কাজ নয়। তবে,রোজ এক চামচ করে মধু খেলে শীতকাল আরামে কাটতে পারে। মধুর মধ্যে প্রাকৃতিক এনজাইম, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। মধু দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমকে উন্নত করে। তবে, মধু হতে হবে একদম খাঁটি।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরে পুষ্টিও জোগায়। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি ও কাশির সমস্যা কমে যাবে।এ ছাড়া ক্যানসারের মতো রোগকে পেঁয়াজ দূরে রাখে। এ ছাড়া যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন একটু কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। কারণ পেঁয়াজ হজম শক্তি বাড়ায়। পেঁয়াজে রয়েছে সালফার, যা চুল পড়া রোধ করে। পেঁয়াজের রস খেলে অ্যাজমার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
রসুন
শরীরের সুস্থতায় রসুনের জুড়ি মেলা ভার। রসুনের মধ্যে রয়েছে এলিসিন নামে এক উপাদান,যা ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখবে। প্রতিদিন কাঁচা রসুন খেলে হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।রসুনের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ অনেকটা ওষুধের মতো কাজ করে। রসুন আপনাকে ঠান্ডার সমস্যা থেকে দূরে রাখবে। ঠান্ডা লাগলে তা ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটতে পারে, যা থেকে মুক্তি পেতে রসুন পিষে রস খেলে ভালো উপকার পাবেন।