নামিবিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নান্দি এনদাইতওয়া। মঙ্গলবার উত্তরপশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন; সেখানে দেখা গেছে মোট ভোটের ৫৭ শতাংশ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এই নারী রাজনীতিবিদ।
গত ২৭ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে নামিবিয়া। রাষ্ট্রপ্রধানের পদের জন্য ৫০ শতাংশের বেশি ভোটই যথেষ্ট ছিল নান্দি এনদাইতওয়ার জন্য। নির্বাচনে নান্দির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিরোধী দল ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্যাট্রিয়টস ফর চেঞ্জের (আইপিসি) প্রার্থী পান্দুলেনি ইতুলা। তিনি পেয়েছেন ২৬ শতাংশ ভোট।
মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় নান্দি বলেন, “নামিবিয়ার জনগণ শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।”
বছরের পর বছর ধরে সংগ্রামের পর ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা লাভ করে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক উপনিবেশ নামিবিয়া। তারপর এই প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান পদে কোনো নারী নির্বাচিত হলেন। ৭২ বছর বয়সী নান্দি এনদাইতওয়া নামিবিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রসারিতে ছিলেন। দেশটির পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সোয়াপোর এই নেত্রীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরু গত শতকের ষাটের দশকে। সে সময়েই সোয়াপোতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
নাবিবিয়ায় প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন আলাদাভাবে হয়। গত ২৭ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচনও হয়েছে দেশটিতে। নামিবিয়ার পার্লামেন্টে নির্বাচনভিত্তিক আসনের সংখ্যা ৯৬টি। এসব আসনের মধ্যে ৫১টি আসনে জয় পেয়েছেন সোয়াপো পার্টির প্রার্থীরা। অন্যদিকে আইপিএস জয় পেয়েছে ২০টি আসনে।
মঙ্গলবার নামিবিয়ার নির্বাচন কমিশন ফলাফল প্রকাশের পর তাৎক্ষণিকভাবে তা মেনে না নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে আইপিএস। ফলাফল বাতিল ঘোষণা এবং ফের নির্বাচনের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে দলটি।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নান্দি এনদাইতওয়ার ব্যক্তিগত জনপ্রিতার কারণেই আইপিএসের ধোপে টিকবে না। নামিবিয়ার রাজনীতি বিশ্লেষক র্যাক্কেল আন্দ্রেস রয়টার্সকে বলেন, “বেকারত্ব ও সামাজিক অসাম্য নিয়ে নামিবিয়ার তরুণদের মধ্যে খানিকটা হতাশা রয়েছে ঠিকই; কিন্তু সোয়াপো এবং নান্দি এনদাইতহওয়ার জনপ্রিয়তা ও জনভিত্তি এখনও অন্য যে কেনো রাজনৈতিক নেতা ও দলের কাছে ঈর্ষনীয়।”
“তিনি (নান্দি এনদাইতওয়া) একজন পুরোদস্তুর রাষ্ট্রনায়ক। এই মুহূর্তে তিনি নামিবিয়ার সবচেয়ে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং একটি রাষ্ট্র কীভাবে চলে— তা তিনি খুব ভালোভাবে বোঝেন।”
সূত্র : রয়টার্স
এসএমডব্লিউ