চুয়াডাঙ্গা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা ভাসানী: রাশেদ প্রধান 


মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন বলে মনে করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি এবং দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

রোববার শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে জাগপা আয়োজিত মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম ওফাত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে শেখ মুজিবুর রহমান নিজের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাকিস্তান শেখ মুজিবের কোন ক্ষতি করে নাই, যুদ্ধ শেষে সুরক্ষিত অবস্থায় স্বাধীন বাংলায় ফেরত দিয়েছিল। যুদ্ধ-চলাকালীন ৯ মাস বাংলার মাটিতে বসে শেখ পরিবার পাকিস্তানের মাসিক ভাতা নিয়েছেন। তাই পাকিস্তান শেখ হাসিনার জন্য নিরাপদ জায়গা। উন্নত দেশগুলো হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে রাজি নয়। কূটনৈতিক পাসপোর্টে ৪৫ দিন ভারতে থাকার মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে। তাই শেখ হাসিনার উচিত হবে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পাকিস্তান সরকারের দারস্থ হওয়া।

ভাসানীর স্মরণে তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তার সারা জীবন, দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেছে। স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা সর্বপ্রথম উপলব্ধি করে ভূমিকা রেখেছিলেন ভাসানী। দলীয় স্বার্থে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলার মাটি থেকে ভাসানীর নাম নিশানা মুছে ফেলার জন্য হাজারো চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজ বাংলার তৌহিদী জনতা শেখ মুজিবের সকল নাম-নিশানা-মূর্তি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে এবং সম্মানের সাথে স্মরণ করছে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীকে। স্পষ্ট ভাষায় সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা মুজিব নয়, মাওলানা ভাসানী।

তিনি আরও বলেন, দূরদর্শী নেতা মাওলানা ভাসানী আমাদের উপলব্ধি করিয়েছিলেন ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসান রুখে দিতে হবে। পিন্ডির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছে, দিল্লির গোলামী করার জন্য নয়। প্রকৃত স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের যুদ্ধ আজও চলছে। ভাসানীর আদর্শে উদ্দিপ্ত হয়ে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে লড়াই করতে হবে।

বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, মো. হাসমত উল্লাহ, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রওশন আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমূখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমপি





Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা ভাসানী: রাশেদ প্রধান 

আপডেটঃ ০৮:২১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪


মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন বলে মনে করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি এবং দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

রোববার শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে জাগপা আয়োজিত মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম ওফাত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে শেখ মুজিবুর রহমান নিজের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাকিস্তান শেখ মুজিবের কোন ক্ষতি করে নাই, যুদ্ধ শেষে সুরক্ষিত অবস্থায় স্বাধীন বাংলায় ফেরত দিয়েছিল। যুদ্ধ-চলাকালীন ৯ মাস বাংলার মাটিতে বসে শেখ পরিবার পাকিস্তানের মাসিক ভাতা নিয়েছেন। তাই পাকিস্তান শেখ হাসিনার জন্য নিরাপদ জায়গা। উন্নত দেশগুলো হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে রাজি নয়। কূটনৈতিক পাসপোর্টে ৪৫ দিন ভারতে থাকার মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে। তাই শেখ হাসিনার উচিত হবে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পাকিস্তান সরকারের দারস্থ হওয়া।

ভাসানীর স্মরণে তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তার সারা জীবন, দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেছে। স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা সর্বপ্রথম উপলব্ধি করে ভূমিকা রেখেছিলেন ভাসানী। দলীয় স্বার্থে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলার মাটি থেকে ভাসানীর নাম নিশানা মুছে ফেলার জন্য হাজারো চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজ বাংলার তৌহিদী জনতা শেখ মুজিবের সকল নাম-নিশানা-মূর্তি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে এবং সম্মানের সাথে স্মরণ করছে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীকে। স্পষ্ট ভাষায় সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা মুজিব নয়, মাওলানা ভাসানী।

তিনি আরও বলেন, দূরদর্শী নেতা মাওলানা ভাসানী আমাদের উপলব্ধি করিয়েছিলেন ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসান রুখে দিতে হবে। পিন্ডির বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছে, দিল্লির গোলামী করার জন্য নয়। প্রকৃত স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের যুদ্ধ আজও চলছে। ভাসানীর আদর্শে উদ্দিপ্ত হয়ে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে লড়াই করতে হবে।

বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, মো. হাসমত উল্লাহ, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রওশন আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমূখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমপি





Source link