চুয়াডাঙ্গা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস


ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সফরের পরিকল্পনা করেছেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির ফলে এ সফরের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ক্যানসারের চিকিৎসা শেষে রাজা চার্লস ধীরে ধীরে তার কার্যক্রমে ফিরে আসছেন।

শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর এক প্রতিবেদনে জানায়, আসন্ন সফরটি ব্রিটেনের জন্য কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সফরের মাধ্যমে ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চালানো হবে।

এরই মধ্যে রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজা চার্লসের শারীরিক অবস্থার উন্নতির ফলে এ সফরটিকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হচ্ছে। যদিও সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত এবং পাকিস্তান সফরও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর এ সফরের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে। বাংলাদেশে এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজা চার্লসের এই সফর ব্রিটেনের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করবে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এর আগেও রাজা চার্লস দক্ষিণ এশিয়া সফর করেছেন। ২০০৬ সালে তিনি ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান সফর করেছিলেন।

উল্লেখ্য, বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের অবস্থান সুসংহত করতে রাজা ও রানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজা এবং রানির এ সফর কেবল ঐতিহাসিক সৌজন্যতাই নয়, বরং একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়। এটি বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এদিকে ভারতীয় উপমহাদেশে সফরের আগে কিছু উদ্বেগও রয়েছে। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ব্রিটিশ নীতিনির্ধারকদের চিন্তায় ফেলেছে। তবুও, রাজা চার্লসের সফরটি দক্ষিণ এশিয়ায় ব্রিটেনের উপস্থিতি সম্পর্কের পুনঃপ্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

রাজা চার্লসের এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে ব্রিটেনের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব আরও প্রসারিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম





সুত্র বাংলাদেশ জার্নাল

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

আপডেটঃ ০৩:২৮:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪


ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সফরের পরিকল্পনা করেছেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির ফলে এ সফরের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ক্যানসারের চিকিৎসা শেষে রাজা চার্লস ধীরে ধীরে তার কার্যক্রমে ফিরে আসছেন।

শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর এক প্রতিবেদনে জানায়, আসন্ন সফরটি ব্রিটেনের জন্য কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সফরের মাধ্যমে ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চালানো হবে।

এরই মধ্যে রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজা চার্লসের শারীরিক অবস্থার উন্নতির ফলে এ সফরটিকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হচ্ছে। যদিও সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত এবং পাকিস্তান সফরও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর এ সফরের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে। বাংলাদেশে এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজা চার্লসের এই সফর ব্রিটেনের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করবে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। এর আগেও রাজা চার্লস দক্ষিণ এশিয়া সফর করেছেন। ২০০৬ সালে তিনি ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান সফর করেছিলেন।

উল্লেখ্য, বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের অবস্থান সুসংহত করতে রাজা ও রানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজা এবং রানির এ সফর কেবল ঐতিহাসিক সৌজন্যতাই নয়, বরং একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়। এটি বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এদিকে ভারতীয় উপমহাদেশে সফরের আগে কিছু উদ্বেগও রয়েছে। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ব্রিটিশ নীতিনির্ধারকদের চিন্তায় ফেলেছে। তবুও, রাজা চার্লসের সফরটি দক্ষিণ এশিয়ায় ব্রিটেনের উপস্থিতি সম্পর্কের পুনঃপ্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

রাজা চার্লসের এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে ব্রিটেনের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব আরও প্রসারিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম





সুত্র বাংলাদেশ জার্নাল